পৃষ্ঠাসমূহ

স্বাস্থ্যসংক্রান্ত কোনো বই পড়ার সময় সাবধান। ছাপার ভুলের কারণে আপনার মৃত্যু হতে পারে। মার্ক টোয়েন, সাহিত্যিক।। আমি সব সময়ই বিখ্যাত ছিলাম, কিন্তু এত দিন সবাই জানত না। লেডি গাগা, আমেরিকান পপশিল্পী।। যদি আপনার পিতা-মাতার কোনো সন্তান না থাকে, তাহলে আপনারও নিঃসন্তান হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ডিক ক্যাভেট, সাবেক আমেরিকান টিভি উপস্থাপক।। ঈশ্বর রোগ সারান কিন্তু সম্মানী নেন ডাক্তার। বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, আমেরিকান রাজনীতিবিদ, লেখক ও বিজ্ঞানী।। প্রলোভনের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো তার বশবর্তী হওয়া। অস্কার ওয়াইল্ড, অভিনেতা ও সাহিত্যিক।। ভুল করার পরও কেউ হাসার অর্থ হলো, সে ইতিমধ্যে দোষ চাপানোর মতো অন্য কাউকে পেয়ে গেছে। রবার্ট ব্লক, সাহিত্যিক।। আমি অনেক বছর যাবৎ আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি। আমি তার বক্তব্যে বাধা দিতে চাই না। রডনি ডেঞ্জারফিল্ড, আমেরিকান কৌতুকাভিনেতা।। একজন পুরুষ বিয়ের আগ পর্যন্ত অসম্পূর্ণ থাকে এবং বিয়ের পর সে শেষ হয়ে যায়। সা সা গাবুর, হাঙ্গেরিয়ান-আমেরিকান অভিনেত্রী।। সবার হৃদয়ে নিজের নামটি লিখুন, মার্বেল পাথরের দেয়ালে নয়। চার্লস স্পার্জান, ব্রিটিশ লেখক।। শুধু দালমা আর জিয়াননিনাই আমার বৈধ সন্তান, বাকিরা সবাই আমার অর্থ ও ভুলের ফসল। ডিয়েগো ম্যারাডোনা, সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।। কোনো পুরুষ যদি স্ত্রীর জন্য গাড়ির দরজা খুলে দেয়, তাহলে হয় গাড়িটা নতুন অথবা তার নতুন বিয়ে হয়েছে। প্রিন্স ফিলিপ, ব্রিটেনের রাজপুত্র।। আমি শিশুদের ভালোবাসি। কারণ আপনারা জানেন কি না জানি না, আমি নিজেও শিশু ছিলাম একসময়। টম ক্রুজ, হলিউড অভিনেতা।। জীবনের সব কাক্সিত বস্তুই হয় অবৈধ, কিংবা নিষিদ্ধ, কিংবা চর্বিযুক্ত, কিংবা ব্যয়বহুল, নয়তো বা অন্য কারও স্ত্রী। গ্রুশো মাক্স, সাহিত্যিক।। যতক্ষণ আপনি কোনো ছেলেকে অপছন্দ করবেন, সে আপনার জন্য তার সর্বস্ব ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকবে। যখন আপনি তাকে ভালোবাসতে শুরু করবেন, ততণে সে তার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। বিয়ন্স নোয়েলস, মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী।। আমার একটা অ্যালার্ম ঘড়ি আছে। মজার বিষয় হলো, সেটা কোনো আওয়াজ করে না। এটা আলো দেয়। যতই সময় যেতে থাকে, সেটি ততই উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হতে থাকে। একপর্যায়ে আলোর চোটে আমার ঘুম ভেঙে যায়। আমার সেই অ্যালার্ম ঘড়িটার নাম জানালা। জে লেনো, মার্কিন কৌতুক অভিনেতা।। আমাকে একটি গিটার দাও, আমি সেটা বাজাব। আমাকে একটি মঞ্চ দাও, আমি গাইব। আমাকে একটি অডিটরিয়াম দাও, আমি তা পরিপূর্ণ করে দেব। এরিক ক্যাপটন, সংগীতজ্ঞ।। আমার স্বামীর সঙ্গে দেখা হওয়ার আগে আমি কখনো প্রেমে পড়িনি, কয়েকবার পা রেখেছিমাত্র। রিটা রুডনার, মার্কিন কৌতুক অভিনেত্রী ও লেখিকা।। অবিবাহিত পুরুষদের ওপর উচ্চহারে কর বসানো উচিত। তারা কেন অন্যদের চেয়ে সুখে থাকবে? অস্কার ওয়াইল্ড, আইরিশ লেখক ও কবি।। বিয়ে হলো কল্পনার কাছে বুদ্ধির পরাজয়। দ্বিতীয় বিয়ে হলো আশার কাছে অভিজ্ঞতার পরাজয়। স্যামুয়েল জনসন, ব্রিটিশ লেখক।। বিয়ে হলো প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার মতোই প্রাকৃতিক, অযৌক্তিক এবং ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। লিসা হফম্যান, অভিনেতা ডাসটিন হফম্যানের স্ত্রী।। বুকমার্ক কেনার জন্য ডলার খরচ করার দরকার কী? ডলারটাকেই বুকমার্ক হিসেবে ব্যবহার করুন। স্টিভেন স্পিলবার্গ, চলচ্চিত্র পরিচালক।। আমার মনে হয়, যেসব পুরুষের কান ফুটো করা, তারা বিয়ের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত। কারণ, তারা ব্যথা সহ্য করেছে এবং অলংকারও কিনেছে। রিটা রুডনার, আমেরিকান কৌতুকাভিনেত্রী, লেখিকা ও অভিনেত্রী।। ডায়েটের প্রথম সূত্র হলো : খাবারটা যদি তোমার খেতে খুব ভালো লাগে, তাহলে অবশ্যই জিনিসটা তোমার জন্য তিকর হবে। আইজ্যাক আজিমভ, বিজ্ঞান কল্পকাহিনিকার।। আমার জন্মের পর আমি এত অবাক হয়ে গিয়েছিলাম যে পাক্কা দেড় বছর কথাই বলতে পারিনি। গ্রেসি অ্যালেন, মার্কিন কৌতুকাভিনেত্রী।। আমি কোনো দিন বিখ্যাত হতে পারব না। আমি কিচ্ছু করি না। কিছুই না। আগে দাঁত দিয়ে নখ কাটতাম। এখন তা-ও করি না। ডরোথি পার্কার, আমেরিকান রম্যলেখিকা।। আমি কখনোই আমার স্কুলকে আমার শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটাতে দিইনি। মার্ক টোয়েন, সাহিত্যিক।। সত্যবাদিতাই সর্বোত্তম পন্থা, যদি না আপনি একজন অসাধারণ মিথ্যেবাদী হতে পারেন। জেরোম কে জেরোম, ব্রিটিশ লেখক।। আলস্য পুরোপুরিভাবে তখনই উপভোগ করা সম্ভব, যখন হাতে প্রচুর কাজ থাকে। জেরোম কে জেরোম, ব্রিটিশ লেখক।। যখনই টিভিতে পৃথিবীর সব অনাহারি ও দরিদ্র শিশুকে দেখি, কান্না ধরে রাখতে পারি না। মনে হয়, ইশ, আমার ফিগারটাও যদি ওই রকম হতো। মারায়া ক্যারি, সংগীতশিল্পী।। সুষম খাদ্যতালিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো খাদ্য। ফ্র্যান লেবোউইটজ, মার্কিন লেখক।। ধূমপান মৃত্যু ডেকে আনে। যদি আপনার মৃত্যু ঘটে, তাহলে জীবনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ আপনি হারাবেন। ব্রুক শিল্ডস, অভিনেত্রী।। বক্সিংয়ে এ পর্যন্ত ইনজুরি, মৃত্যু-দুটোই হয়েছে। কোনোটিই তেমন মারাত্মক ছিল না। অ্যালান মিন্টার, বক্সার।। অন্যের শেষকৃত্যানুষ্ঠানে সব সময় যাওয়া উচিত। তা না হলে তারাও আপনার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে আসবে না। ইয়োগি বেরা, বেসবল খেলোয়াড়।। এমন কাজ তোমার করার দরকার নেই, যেটা আগামীকাল অন্যের ঘাড়ে এমনিতেই চাপবে। ডেভিড ব্রেন্ট, অভিনেতা।। আমাকে কোনো প্রশ্ন কোরো না, তাহলে আমাকেও কোনো মিথ্যা বলতে হয় না। ওলিভার গোল্ডস্মিথ, আইরিশ লেখক ও কবি।। মডেলরা হলো বেসবল খেলোয়াড়দের মতো। আমরা খুব তাড়াতাড়ি বিপুল অর্থের মালিক হই, কিন্তু বয়স ৩০ হতে না হতেই আবিষ্কার করি যে আমাদের উচ্চশিক্ষা নেই, কোনো কিছু করারই যোগ্যতা নেই। কিন্তু আমরা খুবই বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত। এমন সময় সবচেয়ে বুদ্ধির কাজ হলো কোনো মুভিস্টারকে বিয়ে করে ফেলা। সিন্ডি ক্রাফোর্ড, মডেল।। ফিলাডেলফিয়ার পথঘাট খুবই নিরাপদ। শুধু মানুষই সেগুলোকে অনিরাপদ বানিয়ে রেখেছে। ফ্রাংক রিজো, আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ার সাবেক মেয়র।। সব সময় মনে রাখবেন, আপনি অনন্য। ঠিক আর সবার মতো। মার্গারেট মেড, নৃতত্ত্ববিদ।। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাগের মাথায় কখনো বাচ্চাদের মারবেন না। আমার প্রশ্ন হলো, তাহলে কখন মারব? মনে যখন আনন্দ থাকে তখন? রোজেইন বার, লেখক।। টেলিভিশন আমার কাছে খুবই শিক্ষামূলক। বাড়ির সবাই যখন টেলিভিশন দেখে, আমি তখন অন্য ঘরে গিয়ে বই পড়তে শুরু করি। গ্রুশো মার্ক্স, কৌতুকাভিনেতা।। হাল ছেড়ো না। একটা ডাকটিকিটকে দেখো। নিজ গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত তা একটি খামের সঙ্গেই লেগে থাকে। জশ বিলিংস, লেখক।। কেউ মহৎ হয়েই জন্মায়, কেউ অনেক চেষ্টা করে মহৎ হয়। বাকিরা পাবলিক রিলেশন অফিসারদের ভাড়া করে। ড্যানিয়েল জে বুরর্স্টিন, ইতিহাসবিদ।। বাস্তব ও কল্পকাহিনির মধ্যে পার্থক্য হলো, কল্পকাহিনিকে সব সময় যুক্তিপূর্ণ হতে হয়। টম ক্যান্সি, লেখক।। অস্ট্রেলিয়ার মানুষের অন্যতম প্রিয় শখ হচ্ছে কবিতা না পড়া। ফিলিস ম্যাকগিনলে, লেখক।। চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্য মানুষের ব্লাডারের সহ্যমতার সমানুপাতিক হওয়া উচিত। আলফ্রেড হিচকক, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিচালক।।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০

গুগল যদি বাংলাদেশি কোম্পানি হতো, তাহলে যেসব ঘটনা ঘটত

ফিউশন ফাইভ

গুগল যদি বাংলাদেশি কোম্পানি হতো, তাহলে কেমন হতো, কী ঘটত, পত্রিকায় কয়েক দিন পর পর কী ধরনের খবর হেডলাইন হয়ে আসত, সেসব নিয়ে এই ফিচার। 


গুগল হেডকোয়ার্টার
জমির দালালের হাতে দুই দফা প্রতারিত হওয়ার পর গুগলের করপোরেট হেডকোয়ার্টারটি ঢাকার মতিঝিলে স্থাপনের সিদ্ধান্ত। নির্মাণকাজের মাঝপথে রাজউকের ভূমি জরিপ শাখার আপত্তি, নির্মাণকাজ অনতিবিলম্বে বন্ধ করার আদেশ জারি।

রস কারণ ২

বড় সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকে কেন?
আব্দুল কাইয়ুম

ছোট সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকার না হয় একটা কারণ থাকতে পারে, বসের চাপে ঘর্মাক্ত হলে বস্তুটি প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনা তো বরং উল্টো। সাহেব যত বড়, তাঁর চেয়ারের তোয়ালেও তত দামি। যেন ‘তোয়ালে (গোঁফ) দিয়ে যায় চেনা’। যত উঁচু মানের তোয়ালে, তত বেশি ওজনদার কর্মকর্তা। স্নানঘরের অতিপ্রয়োজনীয় সুতিবস্ত্রটির চেয়ারে  পদোন্নতি লাভের পেছনে এক মজার ইতিহাস আছে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই তোয়ালে-সংস্কৃতির সূত্রপাত ব্রিটিশ আমলে। সে সময় কলকাতার উচ্চপদস্থ বাবুরা মাথায় চুবচুবা তেল মেখে অফিসে এসে চেয়ারে বসে পেছনে মাথা এলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশরা দেখল, আয়েসি বাবুদের নিয়ে তো মহা বিপদ! কী করা যায়? লাগাও তোয়ালে। দামি চেয়ার নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তোয়ালের রঙ চটে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবে। আরেকটি ব্যাপার ছিল। গরমে বাবুদের যে ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল। বিলেতি সাহেবদের অবশ্য তার প্রয়োজন হতো না, কারণ মাথায় তেল দেওয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। আর তা ছাড়া, ব্রিটিশ সাহেবদের ঘরে টানাপাখার ব্যবস্থা ছিল, তাঁদের শরীর ঘামে ভিজত না।

বিজ্ঞাপন তরঙ্গ : গ্রামীণ ফোন প্যারডি

করপোরেট লোগোর দলীয়করণ

মহিউদ্দিন কাউসার

আওয়ামী লীগ-বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের নানা কিছুর নাম পরিবর্তন হয়। সেসবের পাশাপাশি যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো পরিবর্তন করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার চাপ দিত, তাহলে তাদের লোগো কেমন হতো?
বিএমডব্লিউ

দেশি ও বিদেশি

পরিমল গোস্বামী

একটি ইংরেজি গল্প পড়িয়াছিলাম। গল্পটি এইরূপ : জীবনে নানারূপ অ্যাডভেঞ্চার করিয়াছেন বলিয়া জনৈক ভদ্রলোকের বড়ই গর্ব ছিল। ১০-১২টি মাত্র অ্যাডভেঞ্চারের গল্প ছিল তাঁহার সম্বল। তিনি ইহারই কোনো না কোনো একটার দ্বারা সর্বত্র মজলিশ জমাইতেন। সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করা এবং সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করার মধ্যবর্তী কয়েকটি পর্যায় ছিল তাঁহার অ্যাডভেঞ্চারের বিষয়। একদিন তিনি তাঁহার এক বন্ধুর বাড়িতে কয়েকজন নবাগত ব্যক্তিকে লইয়া আসর জমাইয়া বসিয়াছেন। বিস্ময়-বিমুগ্ধ শ্রোতাদিগকে তিনি বলিয়া যাইতেছেন, ‘মনে করুন, একা আমি সেই গভীর জঙ্গলে, হাতে একটা মাত্র বন্দুক। আফ্রিকার জঙ্গল। কিছুণ অনুসন্ধানের পরেই আমার প্রার্থিতের দেখা পেলাম। প্রকাণ্ড সিংহ! সঙ্গে সঙ্গে গুলি। গুলি খেয়ে সিংহটা ঘোর গর্জন করে লাফিয়ে পড়ল আমার ঘাড়ে...।’

রস কারণ ১

কুকুর কেন ঘেউ ঘেউ করে?
আব্দুল কাইয়ুম

আপনি হয়তো ভাবছেন, কুকুরের কাজই তো ঘেউ ঘেউ করা, না হলে সে কীভাবে প্রভুভক্তির পরিচয় দেবে? যখন সবাই গভীর ঘুমে, তখন রাত জেগে কুকুর পাহারা দেয়। চোর বা কোনো দুর্বৃত্ত এলে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। কুকুরের কাজ কুকুর করবে, এর আবার কারণ খোঁজার কী আছে?
হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু এখানে কুকুরের স্বাভাবিক আচরণের কথা হচ্ছে না। ধরুন, অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে, তার সাইরেনের শব্দ শুনে রাস্তার পাশের কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠল।

রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০

বিজ্ঞাপন : চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা ২

এটিও একটি জুতার বিজ্ঞাপন। দুটোর ক্যাপশন পড়লেই বুঝতে পারবেন কে কাকে অনুসরন করেছে।
সাল : ২০১০, ক্লায়েন্ট : Essere 'Up to 50% Sale', এজেন্সি : Talent (Kuwait)

গো-মাংস

আদনান মুকিত
আমাদের বাড়িটা একটু প্রাচীন টাইপের। বাড়ির সামনে উঠোনের মতো একটু জায়গা আছে। একপাশে বাবা বাগান করার চেষ্টা করেছেন। বাগানে ব্যাপক হারে মরিচগাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাছে একটা মরিচও হয়নি। তবে সেটা নিয়ে বাবাকে একটুও বিচলিত হতে দেখি না। তিনি চেয়ারে বসে নিজহাতে লাগানো মরিচহীন গাছের দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। আমি নিশ্চিত, বাবা ব্যাংকার না হয়ে কবি হলে ‘ওই দেখা যায় মরিচগাছ’ টাইপের কবিতাও লিখে ফেলতেন। গাছের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রায়ই বলেন, ‘গাছ থেকে মরিচ না পাই, অক্সিজেন তো পাচ্ছি। গাছের মূল জিনিসই হলো অক্সিজেন, কি বলিস?’ আমি হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ি। বাবা বেশ

ইগ নোবেল ২০১০ : আগে তো হাসুন, পরে ভাবুন


মাহফুজ রহমান, ওয়েবসাইট অবলম্বনে
নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হলে লোকে কত কিছুই না করে। বিশেষ করে মাথা ঘামানো তো মামুলি ব্যাপার। কিন্তু ইগ নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হলে আপনাকে ঘামতে নিষেধ করা হয়েছে। অবশ্য ঘামাঘামির কোনো প্রশ্নই আসে না। আগে হাসুন, তারপর ভাবুন- এমন একটা স্লোগানের কথাই বলে ইগ নোবেল কমিটি। কেন বলে, এর বিচার-বিশ্লেষণ পরেই করুন। তার আগে জেনে নেওয়া ভালো, ইগ নোবেল পুরস্কারটির পেছনে হাস্যরসের উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও, তা মোটেও খেলো ব্যাপার নয়।
ইগ নোবেলের লোগোতে খ্যাতনামা শিল্পী অগাস্তে রদিনের ‘দ্য থিংকার’ - এর প্রপাত ধরণীতল অবস্থা দেখে আগে হাসুন, পরে ভাবুন

চিলির ঘটনা বাংলাদেশে ঘটলে যেভাবে ৬৯ দিন পার করা হতো...

ফিউশন ফাইভ

চিলিতে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ৩৩ জন শ্রমিক খনিতে আটকা পড়েন। ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে ৬৯ দিনের মাথায় চিলি সরকার কয়েক দিন আগে তাঁদের উদ্ধার করে। বাংলাদেশে এ ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকার্যের অগ্রগতির (?) একটা ক্রমচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছে রস+আলো।

৫ আগস্ট ২০১০, দুপুর ১২টা 
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শুষ্ক এলাকার আন্ধারমানিকে একটি কয়লা খনির সুড়ঙ্গপথ ধসে ছয়জন শ্রমিক খনির একেবারে নিচে আটকে পড়েন। সুড়ঙ্গস্থলে উত্তেজিত জনতার হামলা। পুলিশের ধাওয়া, ব্যাব মোতায়েন।

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১০

চার মুম্বাইয়া বন্ধুর গপ্পো

চার মুম্বাইয়া বন্ধু ঠিক করল, তারা ব্যবসা করবে। কিন্তু কী ব্যবসা করবে? অনেক ভাবনা-চিন্তার পর ঠিক হলো, তারা একটি পেট্রলপাম্প খুলবে। গ্রামে নিজেদের পৈতৃক জমি বিক্রি করে সেই টাকায় মুম্বাই শহরতলিতে একটা পেট্রলপাম্প খুলেই ফেলল তারা। বিশাল সাইনবোর্ড লাগাল পেট্রলপাম্পের সামনে। কিন্তু কী আশ্চর্য, কোনো খদ্দের গাড়ি নিয়ে পেট্রল নিতে এল না। কেন? কেননা, পাম্পটি খোলা হয়েছিল একটি বহুতল ভবনের একতলায়। গাড়ি উঠবে কী করে সেখানে? ওই চার বন্ধুই আবার রেগে গিয়ে পাম্পটি বন্ধ করে দিল। কিন্তু ব্যবসা তো করতে হবে। তাই তারা পেট্রলপাম্পের পরিবর্তে একই জায়গায় একটি রেস্টুরেন্ট দিল। কাবাব, তন্দুরি থেকে শুরু করে সবই ওই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো খদ্দের রেস্টুরেন্টে খেতে এল না। কেন? কেননা, ওই চার বন্ধু পেট্রলপাম্পের সাইনবোর্ডটি তখনো খুলতে ভুলে গিয়েছিল।

মিষ্টি

আদনান মুকিত

শনিবার এসএসসির রেজাল্ট পাওয়ার পর খুশিতে কী করব, বুঝতে পারছিলাম না। আব্বাকে বাংলা সিনেমার নায়কের মতো এসে বললাম, ‘আব্বা, আব্বা, আমি এ প্লাস পেয়েছি।’
: কী পেয়েছ?
: এ প্লাস। এ প্লাস পেয়েছি।
আব্বা পকেট থেকে ১০ টাকার দুটি নোট বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আব্বা কৃপণ তা জানি। তাই বলে এ প্লাস পাওয়ার পুরস্কার মাত্র ২০ টাকা? আমি বললাম, ‘মাত্র ২০ টাকা? এই টাকা দিয়ে কী হবে?’
: আরেকবার স্কুলে গিয়ে ভালোমতো তোর রোলটা দেখে আয়। তোর মতো ছাত্র এ প্লাস পায় কী করে? নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে। ২০ টাকা হলো স্কুলে যাওয়া-আসার ভাড়া। যা।

বুটজুতো

এফ কুজনেত্সভ
অনুবাদ : কুমারেশ ঘোষ 
আইভান আইভানোভিচ ক্রুতিলকিন পোস্ট অফিসে গিয়ে ঢুকল। সেখানে যে জানালা দিয়ে ডেকে ডেকে চিঠি দেওয়া হয়, তারই সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়াল সে। একটু পরেই জাফরি দেওয়া জানালাটার সামনে এসে দেখল বাদামি চুলের সুন্দরী একটি মেয়ে ওদিকে বসে।
‘পরিচয়পত্রটা চাই।’ মেয়েটি বলল।
শুনেই আইভান হকচকিয়ে গেল, ‘মানে, আমি এখানে মে-ডে-র মেলায় এসেছি। আমার দেশ থেকে চিঠি আসার কথা আছে। আমি-’
‘বলছি, পরিচয়পত্র আছে?
‘আছে।’
‘সেটা দাও কমরেড, দেখি।’
‘এখনই তো সেটা দেখানো যাবে না।’ আইভান জানালার কাছে মুখ নিয়ে নিচুগলায় বলল মেয়েটিকে।

বেসিক আলী ১

কার্টুনিস্ট শাহরিয়ার খানের বেসিক আলী অসম্ভব জনপ্রিয় একটি কার্টুন চরিত্র। এর মূল চরিত্র বেসিক আলী হলেও তার আশেপাশের চরিত্রগুলোও অসম্ভব মজার। মূলত এটি তালিব আলীর পরিবারের গল্প। তালিব আলীর এক স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়ে। ছোট ছেলে ম্যাজিকের মাথা ভর্তি চুল। লক্ষী ট্যারা হ্ওয়ায় দিনরাত সানগ্লাস পড়ে থাকে। সে ভালোবাসার চেষ্টা করে মোনালিসাকে, মোনালিসা এখনও রাজি হয়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না।
বেসিক চাকরি করে বাঙ্গু ব্যাংকে। মেধাবী অফিসার সে। সেখানে বেসিকের কলিগ রিয়ার সংগেই তার প্রেম। রিয়া খুব কোমল স্বভাবের আর খুব আহলাদী। দেখতে পারে না কলিগ রেবেকাকে। কারন বেসিকের প্রতি রেবেকারও বেশ দুর্বলতা আছে।

সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১০

এক্সট্রা ইনিংস : চৌধুরী জাফরউল্লাহ শরাফতের অমর বাণী

  • এই মাত্র তামীম ইকবাল প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করার যোগ্যতা অর্জন করলেন।

বিজ্ঞাপন : চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা ১

একে অপরের আইডিয়া নকল করে বিজ্ঞাপন বানানোর অভ্যাস এজেন্সিগুলোর বহু প্রাচীন। অনেক সময় এমনিতেই দুজনের আইডিয়া মিলে যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সরাসরি কপি করার লোভ সামলাতে পারে না এজেন্সিগুলো।  যাদের বুকে বেশি পাটা তারা সরাসরি মারে, আর যাদের বুকে একটু কম সাহস তারা আইডিয়াটা নিয়ে নিজের মতো করে এক্সিকিউট করে। দেশি বিদেশৌ এসব মারিং বিজ্ঞাপন নিয়ে এই সিরিজ।

প্রথমেই একটি জুতার বিজ্ঞাপন। দুটোর ক্যাপশন পড়লেই বুঝতে পারবেন কে কাকে অনুসরন করেছে।
সাল : ২০০৩, ক্লায়েন্ট : Seppala Shoes, এজেন্সি : BOB Helsinki (Finland)

হায় ট্রেন, সোনালি আগুনের ট্রেন

সিমু নাসের

আমি যখন নার্সারিতে পড়ি তখন একটা কৌতুক শুনেছিলাম। ট্রাকচালক হাসপাতালে শুয়ে। পুলিশ অফিসার তাকে এসে বলল, ‘অ্যাকসিডেন্টটা কীভাবে হয়েছে?’ ট্রাকচালক করুণ মুখে বলল, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা লোক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি হর্ন দিলাম। লোকটা পড়িমড়ি করে রাস্তার পাশের জমিতে নেমে গেল। আমিও ট্রাক নিয়ে রাস্তা থেকে নেমে লোকটাকে ফলো করলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।’
এ রকম ফলো করলে কারোরই আসলে কিছু মনে থাকে না। গত সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে মানুষ ট্রেনলাইনের ওপর বসে ফলো করছিল জনসভা, আর ট্রেন ফলো করছিল সেই রেললাইন।

শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০১০

নদীর চোখে জল

ইমদাদুল হক মিলনের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
সাত সকালে দরজায় টুকটুক শব্দ।
ওমরের এখনো ঘুম ভাঙেনি। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে সে বলল, ‘কে?’
‘ওমর, আমি তোমার ভাবি। ওঠো, ৮টা বাজে। আজ না তোমার এমজিএস গ্রুপে চাকরির ইন্টারভিউ।’
‘ওহ্। প্লিজ, সুইটি ভাবি, আর একটু ঘুমাই।’
‘উহু! আর ঘুমানো চলবে না। দেখো তুমি না উঠলে কিন্তু এবার তোমার গায়ে আমি পানি ঢেলে দেব।’
‘প্লিজ ভাবি, এ কাজটি করো না। আমি না তোমার লক্ষ্মী দেবর। এখন আমি উঠতে উঠতে তুমি কড়া করে এক কাপ চা বানিয়ে আনো তো ঝটপট।’
‘ইস! এতক্ষন একজনকে নাশতা-টাশতা খাইয়ে বিদায় করলাম। এবার আরেকজনের খেদমত শুরু হলো।’
‘ওফ ভাবি! তুমি হলে আমার লক্ষ্মী ভাবি! ভাইয়া তাহলে অফিস চলে গেছে?’
‘হু! আজেরক চাকরিটা হলে দুদিন পরে তো তুমিও অফিসে যাবে আর এই ভাবির কথাও ভুলে যাবে। নিজের বউ নিয়ে মেতে থাকবে। দেখব কেমন বউ ঘরে আন?’

হিমুর হাতে কয়েকটি আলপিন

হুমাযূন আহমেদের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
আজকের দিনটা এত সুন্দর কেন?
সকালবেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি হতভম্ব। এ কি! আমার মুখে এত দাড়ি এল কোত্থেকে? সে দিনই তো গ্রিন ফার্মেসির পাশের ফুটপাতের সেলুন থেকে শেভ করলাম। আর এত অল্প দিনেই এত দাড়ি উঠে গেল? আচ্ছা, মানুষের দাড়ি প্রতিদিন কত সেন্টিমিটার করে বাড়ে? বাদল থাকলে জিজ্ঞেস করা যেত। অবশ্য বাদলকে একটা ফোন করে জানা যায়। আজ সোমবার, এতক্ষণে বড় ফুপা অফিসে চলে গেছেন। ফোন করলে বাদলকে পাওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। অবশ্য দাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে ভালোই তো লাগছে। চেহারায় একটা মহাপুরুষ মহাপুরুষ ভাব চলে এসেছে।

সুহান ও আর্কাইভস

মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের                                                                                   পূর্বকথা
২১৫০ সালের জানুয়ারি মাসের সুন্দর এক সকাল। লাইনা তার নিও পলিমারের পোশাকটুকু শরীরে ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে বাই ভার্বালে করে ১১৭ তলার ফ্যাট থেকে নিচের ল্যান্ডিংয়ে নেমে আসার সময় শুনতে পেল বাসার সাহায্যকারী তৃতীয় প্রজাতির রোবট রু-এর একঘেয়ে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর, ‘লাইনা, বাইরের তাপমাত্রা এখন ১৫০ সে. কিন্তু তোমার নিও পলিমারের ১৭০ সে. তাপমাত্রা প্রতিরোধ করার মতা আছে। আমার মনে হয় তোমার আরেকটু বেশি মাত্রার নিও পলিমার পরে বাইরে বের হওয়া উচিত। এই ২০ সে. তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তোমার শরীরে যেসব অসুবিধা দেখা দিতে পারে তা হলো...।’ পুরোটুকু শোনার আর সময় হয়নি লাইনার, তার হাতে একফোঁটা সময় নেই। নিচে তার জন্য রুহান অপো করার কথা।

এই কানাবাবা! এই!!

এটি হুমায়ূন আহমেদের ‘শুভ্র’ চরিত্রের প্যারডি। পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আছে হিমু ও মিসির আলী। হুমায়ূন আহমেদের প্যারডিটি লিখেছেন সিমু নাসের 
‘মা, আমার চশমা, আমার চশমা কোথায়, মা?’
শুভ্র হাহাকার করে উঠল। গতরাতে আলপিন পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল তা খেয়ালই করেনি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরপরই তার খেয়াল হলো, আলপিনটি সে জায়গামতো লুকাতে ভুলে গেছে। এর মধ্যে আবার বোকার মতন মাকে ডেকে ফেলল সে। মা যদি বিছানায় আলপিন দেখতে পান, তাহলে তিনি হতভম্ব হয়ে যাবেন।
শুভ্রর মা জাহানারার ধারণা, তাঁর ছেলে আইনস্টাইন। ফিজিক্স আর ম্যাথমেটিকসের বই ছাড়া আর কিছু পড়ে না। কিন্তু শুভ্র যে গোপনে গোপনে আলপিন, সেলিনার গোপন কথা, ভালোবাসা প্রেম নয়, বোরকা পরা সেই মেয়েটি ধরনের বইও পড়ে; এটা জানতে পারলে তিনি ছোটখাটো একটা স্ট্রোক করবেন। তাই শুভ্র এ-জাতীয় বই সব সময় লকারে লুকিয়ে রাখে। মা স্ট্রোক করুন, এটা সে চায় না।

রাতের পর রাত

শফিক রেহমানের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
সন্ধ্যায় হালকা ফাল্গুনি হাওয়া বইছিল।
মইনের প্লেয়ারে বাজছিল নতুন রিলিজ হওয়া একটা জনপৃয় বাংলা সিনেমার গান আসসালামু আলাইকুম বেয়াইসাব...ওয়ালাইকুম আস সালাম বিয়াইন সাব... গানটা শুনতে শুনতে মইন ভাবছে বেয়াই এবং বেয়াইন সম্পর্কের চিরন্তন দ্বন্দ্বের বিষয়টি। সম্পর্ক কত অদ্ভুত। বেয়াই একজন পূর্ণবয়স্ক যুবক আর বেয়াইন পূর্ণবয়স্কা যুবতী। একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ থাকবেই। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এই দুজনকে এক হতে দেয় না। সামাজিক বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে দুজনের একে অপরকে পছন্দ হলেও মিলন সম্ভব নয়। বিয়ে বা এ জাতীয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সামাজিক নিয়মনীতিগুলো একটু শিথিল হয়।

কহো না পেয়ার হ্যায়

মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
বিজ্ঞান আকাদেমির সভাপতি ত্রাসিয়ান রুথ গ্রানাইটের হলঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে বিষন্ন হয়ে পড়লেন। প্রায় আকাশছোঁয়া কালো গ্রানাইটের হলঘরটি আগে বিজ্ঞান আকাদেমির মূল তথ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিনীষ স্কেলে নবম মাত্রার বুদ্ধিমান প্রাণী এনরয়েডরা এটা তৈরি করেছিল। এখন হলঘরটি পরিণত হয়েছে মানব বসতির বিনোদনকেন্দ্রে।
ত্রাসিয়ান রুথের অনেক পুরোনো কথা মনে পড়ল। সেই ইন দ্য ইয়ার থ্রি থাউজেন্ড ওয়ান। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের পরিচালক, মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক সবাই মিলে একসঙ্গে বসে লাল বিষাদ তিন মাত্রার উত্তেজক পদার্থ খেয়ে এই হলঘরটিতে মাতলামি করছেন। আর স্বপ্ন দেখছেন, মূল ডেটাবেইজ কম্পিউটার সিডিসিকে ধ্বংস করে ফেলবেন। দশম প্রজাতির রোবটগুলো বেইমানি না করলে তা অবিশ্যি সম্ভব হতো।

একালের দেবদাস

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের

একদিন জুন মাসের দুপুরবেলা রৌদ্রেরও অন্ত ছিল না, উত্তাপেরও সীমা ছিল না। ঠিক সেই সময়টিতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি শচীন মুখার্জির কনিষ্ঠ পুত্র দেবদাস মুখার্জি চট্টগ্রামেরই একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কাসরুমের বেঞ্চ বসে, পা ছড়িয়ে, চোখ বুজে, হাই তুলে অবশেষে স্কুলব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হঠাৎ খুব চিন্তাশীল হয়ে উঠল এবং নিমিষে স্থির করে ফেলল যে এই চমৎকার সময়টিতে গলির ভিডিও গেমসের দোকানে ভিডিও গেম খেলার পরিবর্তে স্কুলের চার দেয়ালের ভেতর আবদ্ধ হয়ে থাকাটা নিতান্তই খারাপ দেখায়। কাস রুমটার চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে সে বেরিয়ে এল। তখন ছিল টিফিন পিরিয়ড। সবাই খেলাধুলায় ব্যস্ত।
আইসক্রিম ও চকোলেট ছিল পার্বতীর জান। টিফিনের অবকাশে গেটে দাঁড়িয়ে মাত্র ঈগলুর ম্যাচোতে একটা কামড় বসিয়েছে, তখনই সে দেখল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেবদাস স্কুলব্যাগটা কাঁধে ফেলে চোর চোর ভঙ্গিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বাসা পাশাপাশি, একই এলাকায়। প্রায়ই পার্বতী দেবদাসের বাসায় যায়। দেবদাসের রুমের কম্পিউটারে নতুন নতুন গেম খেলে। পার্বতীর বাবা গরিব না হলেও দেবদাসের বাবার মতো ঠিক ধনী নয়, তাই পার্বতীর নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। গেম খেলার ইচ্ছে হলেই সে দেবদাসের বাসায় চলে যায়।

শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০

ত্রিভূজের তিনটি বাহু পরস্পর সমান তাই সাবরিনা ত্রিভূজ নয় কারণ সারবিনার বাহু মোটে দুইটি

সিমু নাসের
শর্টকাট মারার জন্য বাধ্য হয়ে গাউসিয়ার ভেতর দিয়েই যাচ্ছিলাম। নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে এই এলাকায় আমি ঢুকি না। মেয়েরা এত ঘন হয়ে এখানে চলাফেরা করে যে আমার খুব অস্বস্তি লাগে। মেয়েরা তরল হলেই আমার পছন্দ।
ওভারব্রিজটার গোড়ায় গভীর মনোযোগ দিয়ে জুতা দেখছিল ডিপার্টমেন্টের রিমি। মনে হলো রিমি খালি পায়ে জুতা কিনতে এসেছে। কেন জানি না, জুতা কিনতে রিমির খালি পায়ে আসাটাই মনে হলো যুক্তিযুক্ত। (ভাগ্যিস ও জামা কিনতে আসেনি।) না, পা খালি না। চমৎকার সবুজ সেন্ডেলের ভেতর একজোড়া ফর্সা পা রিমির, গোড়ালি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ভেতরের দিকে উল্টা ভি করে কাটা পায়জামার কারনে বাকিটুকু কল্পনা করে নিতে হয়। মাথাটা বায়ে ঘুরাতেই আর কল্পনার প্রয়োজন হলো না। উল্টো দিকে সূর্য পড়ায় পাতলা পায়জামার কাপড় ভেদ করে পায়ের অবয়বটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তার উপর ফর্সাটুকু কল্পনা করে নিলেই হয়। মেয়েদের সিক্সথ সেন্সের উপর আমার ব্যাপক আস্থা। আমার এই তাকিয়ে থাকাটা এখুনি রিমি বুঝে ফেলেবে। মুখে কিছু বলবে না। গলায় ওড়না পড়া মেয়েরা এখন আর এসবে কিছু মনে করে না। তবু রিমি গরম চোখে তাকিয়ে বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলবে, ও মাই গড, তুই এখানে কি করিস।

পৃথিবী বহে সমান্তরাল

সিমু নাসের
আজ থেকে দশ বছরেরও বেশি আগে ১৯৯৯ সালে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন কোন এক শীতের বিষন্ন বিকেলে হলের টেবিলে বসে আমি এই গল্পটা শুরু করেছিলাম। ফ্যান্টাসি সায়েন্স ফিকশান। শুরুটা লেখার পরই ড্রাফটটা হারিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে পুরোনো ক্লাস খাতাটায় লেখাটা খুজে পেলাম। আবার যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য এখানে জমা রাখলাম। একদিন না একদিন গল্পটা আমি শেষ করবই।

নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার ইত্তেফাক-এর ব্যক্তিগত কলামে একটা বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। চারকোনা বক্সের ভেতর ছোট ছোট হরফে লেখা বিজ্ঞাপনটা বেশ অদ্ভুত। ‘অপূর্ব সুযোগ! অপূর্ব সুযোগ!! তুমি কি আউটার স্পেসে বসতি বিশ্বাস করো? তুমি কি স্থায়ীভাবে সেখানে মাইগ্রেশন করতে চাও? আইএলটিএসের প্রয়োজন নাই। আজই কাওসার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করো।’ এরপর ধানমন্ডির একটা বাসার ঠিকানা দিয়ে নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লেখা ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের যোগাযোগ কাম্য নহে।’

কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির রান্নাঘরের পেছনের চালকুমড়া গাছের নুইয়ে পড়া লতার হলুদ কুমড়ো ফুলের কালো ভ্রমর অথবা রবি বৃত্তান্ত

সিমু নাসের

আজ ২১ আগস্ট প্রিয় (রম্য ক্যাটাগরিতে) লেখক (এটা বললে তিনি খুশি হন, তাই বলা) আশীফ এন্তাজ রবির জন্মদিন। কততম জানি না। মানুষ মারা টারা গেলে আশেপাশের ভক্তরা তাকে নিয়ে স্বরনসভা করে, স্বরনিকা বের করে। কিন্তু রবি অন্যদের কারো ওপরই ভরসা রাখতে পারেন নাই। তাই তিনি তার এই জন্মদিনেই একটা স্বরনিকা প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ উপলক্ষে তার যোগ্য শিষ্য ইশতিয়াক গুণ্ডা লাগিয়ে আমার কাছ থেকে এই লেখা আদায় করেছেন। ইন ফ্যাক্ট আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে। রবি ভাই এখনো বেঁচে আছেন বলে মনের সুখ মিটিয়ে এখানে কিছু লেখা গেল না। উনি কথা দিয়েছেন এই মায়ার জগতে তার বেশি দিন থাকার ইচ্ছা নাই। দেখা যাক কবে নাগাদ ‌'আশীফ এন্তাজ রবিকে যেমন দেখেছি' লিখতে হয়। তবে তার আগে যদি তাকে লিখতে হয় ‌'‌সিমু নাসেরকে যেমন দেখেছি' তাইলে আমি শেষ। আচ্ছা, এসব হৃদয় বিদারক কথা বাদ দিয়ে আপনারা সবাই মিলে রবি ভাইয়ের এই জন্মদিনে আমাদের দুজনেরই দীঘায়ু কামনা করতে পারেন।]

ইহার নাম ফেসবুক

সিমু নাসের
গল্পটা অনেক প্রাচীন। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে সুখী পরিবার বাবার। সামান্য মাইনের চাকরি করেন তিনি, তবে চরিত্রের প্রয়োজনে খুব সৎ। কাজেই সংসারে অভাব-অনটনও নিত্যসঙ্গী। তাঁর দুই ছেলে গান গেয়ে গেয়ে স্কুলে যায় আর আসে। একদিন বড়লোক চৌধুরীর (যার একটি ফুটফুটে কন্যা আছে, বড় হয়ে নায়িকা হবে) রোষানলে পড়ে অন্যায়ের কাছে হার না মেনে তার পোষা গুন্ডার গুলি খেয়ে মারা যাবেন বাবা, বসতভিটায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকবে আগুন। ছোট ছেলেকে কোলে করে একদিকে ছুটে যাবেন মা, অন্যদিকে বড় ছেলে। হারিয়ে যাবে দুই ভাই। গল্পের শেষে অথবা মাঝামাঝিতে দুই ভাই-ই (এদের একজন নায়ক) তখন অনেক বড়। দেখা-সাক্ষাৎ হলেও পরিচয় নেই। মনের আনন্দে একদিন এক ভাই সেই ছোট্টবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে গাওয়া গানটি গেয়ে উঠবে আর

ফেসবুক তুমি আছ তাই...

সিমু নাসের
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে ১৭ মার্চ ২০১০।

ঝিলমির সঙ্গে পাক্কা সাড়ে তিন বছরের সম্পর্কটা একেবারেই চুকেবুকে গেল অর্ণবের। রাতের বেলা দু-তিন মিনিটের জন্য অর্ণবের মুঠোফোন ব্যস্ত থাকাটা ঝিলমির কাছে অবশ্যই তুচ্ছ কোনো বিষয় নয়। অর্ণবের একটা বড় অপরাধ, অর্ণব কেন তার প্রয়োজনীয় কথা দিনের বেলা সেরে রাখে না, ঝিলমি ঘুমিয়ে পড়ার আগেই কী কথা কাহার সনে?
নিকট-বন্ধুরা অর্ণবকে বলেছে, ওরে, ঝিলমিটা ঘুমাক, তারপর নাহয় অন্যদের সঙ্গে কথা বলিস। কিন্তু সেসব কথায় ও কান দিলে তো! এমন অসাবধানি ছেলের তো ঝামেলা হবেই—ঝগড়াঝাঁটি হবে, কথাকাটাকাটি হবে। হলোও তা-ই। এমন প্রায়ই হয়, সবারই হয়। কিন্তু এবার

ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো

ভাষান্তর: সিমু নাসের

স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। সেই ভাষণ শুনে আমি এতই অনুপ্রানিত হয়েছিলাম যে সংগে সংগে বসে গিয়েছিলাম অনুবাদ করতে। আমার অনুবাদ করতে কখনই ভালো লাগে না। কিন্তু এই অনুবাদটি করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমি অনুবাদ করতে বসলে যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো আমি অনেক নিজের কথা অনুবাদে ঢুকিয়ে দেই। এইখানেও দুয়েকটা জায়গায় তা করেছি। তাতে মূল ভাব বা বক্তব্যের কোন হেরফের হয়নি। চাইলে ভাষনটি তুমিনালী (ইউটিউব) থেকে দেখে নিতে পারেন। অন্তর্জাল দুনিয়ায় ঘাটাঘাটি করে ভাষনের ইঙরেজি কপিটিও দেখতে পারেন। এই অনুবাদটি যে কেউ চাইলে যে কোন জায়গায় আমার অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করতে পারবেন। এই অনুবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে।

যে কারনে আমি ব্লগে লিখি না

সিমু নাসের

আমার মন মেজাজ সব সময়ই ভালো থাকে। এটা আমার জন্য একটা বড় প্রব্লেম। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে মন মেজাজ খারাপ করার জন্য মাসে এক দুইবার বিভিন্ন ব্লগে ঢুকি, কিন্তু লিখি না। কিছুক্ষণ ব্লগের বিভিন্ন লেখা পড়ার পর মন মেজাজ অটোমেটিকলি খারাপ হতে থাকে। কেন খারাপ হতে থাকে সেটা ব্লগার মাত্রই জানেন বলে আমার ধারণা। পড়লেই মেজাজ খারাপ হয় লিখলে আরও অনেক বেশি খারাপ হবে এই ভয়ে সেদিকে আর আগাই না। তবে এটা মূল কারণ না...