ফিউশন ফাইভ
গুগল যদি বাংলাদেশি কোম্পানি হতো, তাহলে কেমন হতো, কী ঘটত, পত্রিকায় কয়েক দিন পর পর কী ধরনের খবর হেডলাইন হয়ে আসত, সেসব নিয়ে এই ফিচার।
গুগল হেডকোয়ার্টার
জমির দালালের হাতে দুই দফা প্রতারিত হওয়ার পর গুগলের করপোরেট হেডকোয়ার্টারটি ঢাকার মতিঝিলে স্থাপনের সিদ্ধান্ত। নির্মাণকাজের মাঝপথে রাজউকের ভূমি জরিপ শাখার আপত্তি, নির্মাণকাজ অনতিবিলম্বে বন্ধ করার আদেশ জারি।
পৃষ্ঠাসমূহ
সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০
রস কারণ ২
বড় সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকে কেন?
আব্দুল কাইয়ুম
ছোট সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকার না হয় একটা কারণ থাকতে পারে, বসের চাপে ঘর্মাক্ত হলে বস্তুটি প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনা তো বরং উল্টো। সাহেব যত বড়, তাঁর চেয়ারের তোয়ালেও তত দামি। যেন ‘তোয়ালে (গোঁফ) দিয়ে যায় চেনা’। যত উঁচু মানের তোয়ালে, তত বেশি ওজনদার কর্মকর্তা। স্নানঘরের অতিপ্রয়োজনীয় সুতিবস্ত্রটির চেয়ারে পদোন্নতি লাভের পেছনে এক মজার ইতিহাস আছে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই তোয়ালে-সংস্কৃতির সূত্রপাত ব্রিটিশ আমলে। সে সময় কলকাতার উচ্চপদস্থ বাবুরা মাথায় চুবচুবা তেল মেখে অফিসে এসে চেয়ারে বসে পেছনে মাথা এলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশরা দেখল, আয়েসি বাবুদের নিয়ে তো মহা বিপদ! কী করা যায়? লাগাও তোয়ালে। দামি চেয়ার নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তোয়ালের রঙ চটে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবে। আরেকটি ব্যাপার ছিল। গরমে বাবুদের যে ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল। বিলেতি সাহেবদের অবশ্য তার প্রয়োজন হতো না, কারণ মাথায় তেল দেওয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। আর তা ছাড়া, ব্রিটিশ সাহেবদের ঘরে টানাপাখার ব্যবস্থা ছিল, তাঁদের শরীর ঘামে ভিজত না।
আব্দুল কাইয়ুম
ছোট সাহেবদের চেয়ারে তোয়ালে থাকার না হয় একটা কারণ থাকতে পারে, বসের চাপে ঘর্মাক্ত হলে বস্তুটি প্রয়োজন। কিন্তু ঘটনা তো বরং উল্টো। সাহেব যত বড়, তাঁর চেয়ারের তোয়ালেও তত দামি। যেন ‘তোয়ালে (গোঁফ) দিয়ে যায় চেনা’। যত উঁচু মানের তোয়ালে, তত বেশি ওজনদার কর্মকর্তা। স্নানঘরের অতিপ্রয়োজনীয় সুতিবস্ত্রটির চেয়ারে পদোন্নতি লাভের পেছনে এক মজার ইতিহাস আছে।
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ফারুক চৌধুরীকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, এই তোয়ালে-সংস্কৃতির সূত্রপাত ব্রিটিশ আমলে। সে সময় কলকাতার উচ্চপদস্থ বাবুরা মাথায় চুবচুবা তেল মেখে অফিসে এসে চেয়ারে বসে পেছনে মাথা এলিয়ে দিতেন। ব্রিটিশরা দেখল, আয়েসি বাবুদের নিয়ে তো মহা বিপদ! কী করা যায়? লাগাও তোয়ালে। দামি চেয়ার নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। তোয়ালের রঙ চটে গেলে ধুয়ে নেওয়া যাবে। আরেকটি ব্যাপার ছিল। গরমে বাবুদের যে ঘাম ঝরত, তা মুছে ফেলার জন্যও তোয়ালের দরকার ছিল। বিলেতি সাহেবদের অবশ্য তার প্রয়োজন হতো না, কারণ মাথায় তেল দেওয়া তাদের রীতিবিরুদ্ধ। আর তা ছাড়া, ব্রিটিশ সাহেবদের ঘরে টানাপাখার ব্যবস্থা ছিল, তাঁদের শরীর ঘামে ভিজত না।
করপোরেট লোগোর দলীয়করণ
মহিউদ্দিন কাউসার
আওয়ামী লীগ-বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের নানা কিছুর নাম পরিবর্তন হয়। সেসবের পাশাপাশি যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো পরিবর্তন করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার চাপ দিত, তাহলে তাদের লোগো কেমন হতো?
আওয়ামী লীগ-বিএনপি ক্ষমতায় আসার সঙ্গে সঙ্গে দেশের নানা কিছুর নাম পরিবর্তন হয়। সেসবের পাশাপাশি যদি বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর লোগো পরিবর্তন করার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার চাপ দিত, তাহলে তাদের লোগো কেমন হতো?
বিএমডব্লিউ |
লেবেলসমূহ:
আওয়ামী লীগ,
রম্য,
রস+আলো,
স্যাটায়ার
দেশি ও বিদেশি
পরিমল গোস্বামী
একটি ইংরেজি গল্প পড়িয়াছিলাম। গল্পটি এইরূপ : জীবনে নানারূপ অ্যাডভেঞ্চার করিয়াছেন বলিয়া জনৈক ভদ্রলোকের বড়ই গর্ব ছিল। ১০-১২টি মাত্র অ্যাডভেঞ্চারের গল্প ছিল তাঁহার সম্বল। তিনি ইহারই কোনো না কোনো একটার দ্বারা সর্বত্র মজলিশ জমাইতেন। সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করা এবং সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করার মধ্যবর্তী কয়েকটি পর্যায় ছিল তাঁহার অ্যাডভেঞ্চারের বিষয়। একদিন তিনি তাঁহার এক বন্ধুর বাড়িতে কয়েকজন নবাগত ব্যক্তিকে লইয়া আসর জমাইয়া বসিয়াছেন। বিস্ময়-বিমুগ্ধ শ্রোতাদিগকে তিনি বলিয়া যাইতেছেন, ‘মনে করুন, একা আমি সেই গভীর জঙ্গলে, হাতে একটা মাত্র বন্দুক। আফ্রিকার জঙ্গল। কিছুণ অনুসন্ধানের পরেই আমার প্রার্থিতের দেখা পেলাম। প্রকাণ্ড সিংহ! সঙ্গে সঙ্গে গুলি। গুলি খেয়ে সিংহটা ঘোর গর্জন করে লাফিয়ে পড়ল আমার ঘাড়ে...।’
একটি ইংরেজি গল্প পড়িয়াছিলাম। গল্পটি এইরূপ : জীবনে নানারূপ অ্যাডভেঞ্চার করিয়াছেন বলিয়া জনৈক ভদ্রলোকের বড়ই গর্ব ছিল। ১০-১২টি মাত্র অ্যাডভেঞ্চারের গল্প ছিল তাঁহার সম্বল। তিনি ইহারই কোনো না কোনো একটার দ্বারা সর্বত্র মজলিশ জমাইতেন। সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করা এবং সিংহ-শিকার হইতে প্রেম করার মধ্যবর্তী কয়েকটি পর্যায় ছিল তাঁহার অ্যাডভেঞ্চারের বিষয়। একদিন তিনি তাঁহার এক বন্ধুর বাড়িতে কয়েকজন নবাগত ব্যক্তিকে লইয়া আসর জমাইয়া বসিয়াছেন। বিস্ময়-বিমুগ্ধ শ্রোতাদিগকে তিনি বলিয়া যাইতেছেন, ‘মনে করুন, একা আমি সেই গভীর জঙ্গলে, হাতে একটা মাত্র বন্দুক। আফ্রিকার জঙ্গল। কিছুণ অনুসন্ধানের পরেই আমার প্রার্থিতের দেখা পেলাম। প্রকাণ্ড সিংহ! সঙ্গে সঙ্গে গুলি। গুলি খেয়ে সিংহটা ঘোর গর্জন করে লাফিয়ে পড়ল আমার ঘাড়ে...।’
রস কারণ ১
কুকুর কেন ঘেউ ঘেউ করে?
আব্দুল কাইয়ুম
আপনি হয়তো ভাবছেন, কুকুরের কাজই তো ঘেউ ঘেউ করা, না হলে সে কীভাবে প্রভুভক্তির পরিচয় দেবে? যখন সবাই গভীর ঘুমে, তখন রাত জেগে কুকুর পাহারা দেয়। চোর বা কোনো দুর্বৃত্ত এলে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। কুকুরের কাজ কুকুর করবে, এর আবার কারণ খোঁজার কী আছে?
হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু এখানে কুকুরের স্বাভাবিক আচরণের কথা হচ্ছে না। ধরুন, অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে, তার সাইরেনের শব্দ শুনে রাস্তার পাশের কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠল।
আব্দুল কাইয়ুম
আপনি হয়তো ভাবছেন, কুকুরের কাজই তো ঘেউ ঘেউ করা, না হলে সে কীভাবে প্রভুভক্তির পরিচয় দেবে? যখন সবাই গভীর ঘুমে, তখন রাত জেগে কুকুর পাহারা দেয়। চোর বা কোনো দুর্বৃত্ত এলে ঘেউ ঘেউ করে ওঠে। কুকুরের কাজ কুকুর করবে, এর আবার কারণ খোঁজার কী আছে?
হ্যাঁ, এটা ঠিক। কিন্তু এখানে কুকুরের স্বাভাবিক আচরণের কথা হচ্ছে না। ধরুন, অ্যাম্বুলেন্স যাচ্ছে, তার সাইরেনের শব্দ শুনে রাস্তার পাশের কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে উঠল।
রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০
বিজ্ঞাপন : চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা ২
এটিও একটি জুতার বিজ্ঞাপন। দুটোর ক্যাপশন পড়লেই বুঝতে পারবেন কে কাকে অনুসরন করেছে।
সাল : ২০১০, ক্লায়েন্ট : Essere 'Up to 50% Sale', এজেন্সি : Talent (Kuwait) |
গো-মাংস
আদনান মুকিত
আমাদের বাড়িটা একটু প্রাচীন টাইপের। বাড়ির সামনে উঠোনের মতো একটু জায়গা আছে। একপাশে বাবা বাগান করার চেষ্টা করেছেন। বাগানে ব্যাপক হারে মরিচগাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাছে একটা মরিচও হয়নি। তবে সেটা নিয়ে বাবাকে একটুও বিচলিত হতে দেখি না। তিনি চেয়ারে বসে নিজহাতে লাগানো মরিচহীন গাছের দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। আমি নিশ্চিত, বাবা ব্যাংকার না হয়ে কবি হলে ‘ওই দেখা যায় মরিচগাছ’ টাইপের কবিতাও লিখে ফেলতেন। গাছের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রায়ই বলেন, ‘গাছ থেকে মরিচ না পাই, অক্সিজেন তো পাচ্ছি। গাছের মূল জিনিসই হলো অক্সিজেন, কি বলিস?’ আমি হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ি। বাবা বেশ
আমাদের বাড়িটা একটু প্রাচীন টাইপের। বাড়ির সামনে উঠোনের মতো একটু জায়গা আছে। একপাশে বাবা বাগান করার চেষ্টা করেছেন। বাগানে ব্যাপক হারে মরিচগাছ লাগানো হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাছে একটা মরিচও হয়নি। তবে সেটা নিয়ে বাবাকে একটুও বিচলিত হতে দেখি না। তিনি চেয়ারে বসে নিজহাতে লাগানো মরিচহীন গাছের দিকে উদাস দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকেন। আমি নিশ্চিত, বাবা ব্যাংকার না হয়ে কবি হলে ‘ওই দেখা যায় মরিচগাছ’ টাইপের কবিতাও লিখে ফেলতেন। গাছের দিকে তাকিয়ে তিনি প্রায়ই বলেন, ‘গাছ থেকে মরিচ না পাই, অক্সিজেন তো পাচ্ছি। গাছের মূল জিনিসই হলো অক্সিজেন, কি বলিস?’ আমি হ্যাঁ-সূচক মাথা নাড়ি। বাবা বেশ
ইগ নোবেল ২০১০ : আগে তো হাসুন, পরে ভাবুন
মাহফুজ রহমান, ওয়েবসাইট অবলম্বনে
নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হলে লোকে কত কিছুই না করে। বিশেষ করে মাথা ঘামানো তো মামুলি ব্যাপার। কিন্তু ইগ নোবেল পুরস্কার ঘোষণা হলে আপনাকে ঘামতে নিষেধ করা হয়েছে। অবশ্য ঘামাঘামির কোনো প্রশ্নই আসে না। আগে হাসুন, তারপর ভাবুন- এমন একটা স্লোগানের কথাই বলে ইগ নোবেল কমিটি। কেন বলে, এর বিচার-বিশ্লেষণ পরেই করুন। তার আগে জেনে নেওয়া ভালো, ইগ নোবেল পুরস্কারটির পেছনে হাস্যরসের উপাদান যথেষ্ট পরিমাণে থাকলেও, তা মোটেও খেলো ব্যাপার নয়।
ইগ নোবেলের লোগোতে খ্যাতনামা শিল্পী অগাস্তে রদিনের ‘দ্য থিংকার’ - এর প্রপাত ধরণীতল অবস্থা দেখে আগে হাসুন, পরে ভাবুন |
চিলির ঘটনা বাংলাদেশে ঘটলে যেভাবে ৬৯ দিন পার করা হতো...
ফিউশন ফাইভ
চিলিতে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ৩৩ জন শ্রমিক খনিতে আটকা পড়েন। ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে ৬৯ দিনের মাথায় চিলি সরকার কয়েক দিন আগে তাঁদের উদ্ধার করে। বাংলাদেশে এ ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকার্যের অগ্রগতির (?) একটা ক্রমচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছে রস+আলো।
৫ আগস্ট ২০১০, দুপুর ১২টাবাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলীয় শুষ্ক এলাকার আন্ধারমানিকে একটি কয়লা খনির সুড়ঙ্গপথ ধসে ছয়জন শ্রমিক খনির একেবারে নিচে আটকে পড়েন। সুড়ঙ্গস্থলে উত্তেজিত জনতার হামলা। পুলিশের ধাওয়া, ব্যাব মোতায়েন।
চিলিতে আগস্ট মাসের শুরুর দিকে ৩৩ জন শ্রমিক খনিতে আটকা পড়েন। ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে ৬৯ দিনের মাথায় চিলি সরকার কয়েক দিন আগে তাঁদের উদ্ধার করে। বাংলাদেশে এ ঘটনা ঘটলে উদ্ধারকার্যের অগ্রগতির (?) একটা ক্রমচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছে রস+আলো।
৫ আগস্ট ২০১০, দুপুর ১২টা
মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১০
চার মুম্বাইয়া বন্ধুর গপ্পো
চার মুম্বাইয়া বন্ধু ঠিক করল, তারা ব্যবসা করবে। কিন্তু কী ব্যবসা করবে? অনেক ভাবনা-চিন্তার পর ঠিক হলো, তারা একটি পেট্রলপাম্প খুলবে। গ্রামে নিজেদের পৈতৃক জমি বিক্রি করে সেই টাকায় মুম্বাই শহরতলিতে একটা পেট্রলপাম্প খুলেই ফেলল তারা। বিশাল সাইনবোর্ড লাগাল পেট্রলপাম্পের সামনে। কিন্তু কী আশ্চর্য, কোনো খদ্দের গাড়ি নিয়ে পেট্রল নিতে এল না। কেন? কেননা, পাম্পটি খোলা হয়েছিল একটি বহুতল ভবনের একতলায়। গাড়ি উঠবে কী করে সেখানে? ওই চার বন্ধুই আবার রেগে গিয়ে পাম্পটি বন্ধ করে দিল। কিন্তু ব্যবসা তো করতে হবে। তাই তারা পেট্রলপাম্পের পরিবর্তে একই জায়গায় একটি রেস্টুরেন্ট দিল। কাবাব, তন্দুরি থেকে শুরু করে সবই ওই রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো খদ্দের রেস্টুরেন্টে খেতে এল না। কেন? কেননা, ওই চার বন্ধু পেট্রলপাম্পের সাইনবোর্ডটি তখনো খুলতে ভুলে গিয়েছিল।
মিষ্টি
আদনান মুকিত
শনিবার এসএসসির রেজাল্ট পাওয়ার পর খুশিতে কী করব, বুঝতে পারছিলাম না। আব্বাকে বাংলা সিনেমার নায়কের মতো এসে বললাম, ‘আব্বা, আব্বা, আমি এ প্লাস পেয়েছি।’
: কী পেয়েছ?
: এ প্লাস। এ প্লাস পেয়েছি।
আব্বা পকেট থেকে ১০ টাকার দুটি নোট বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আব্বা কৃপণ তা জানি। তাই বলে এ প্লাস পাওয়ার পুরস্কার মাত্র ২০ টাকা? আমি বললাম, ‘মাত্র ২০ টাকা? এই টাকা দিয়ে কী হবে?’
: আরেকবার স্কুলে গিয়ে ভালোমতো তোর রোলটা দেখে আয়। তোর মতো ছাত্র এ প্লাস পায় কী করে? নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে। ২০ টাকা হলো স্কুলে যাওয়া-আসার ভাড়া। যা।
শনিবার এসএসসির রেজাল্ট পাওয়ার পর খুশিতে কী করব, বুঝতে পারছিলাম না। আব্বাকে বাংলা সিনেমার নায়কের মতো এসে বললাম, ‘আব্বা, আব্বা, আমি এ প্লাস পেয়েছি।’
: কী পেয়েছ?
: এ প্লাস। এ প্লাস পেয়েছি।
আব্বা পকেট থেকে ১০ টাকার দুটি নোট বের করে আমার হাতে ধরিয়ে দিলেন। আমার মনটাই খারাপ হয়ে গেল। আব্বা কৃপণ তা জানি। তাই বলে এ প্লাস পাওয়ার পুরস্কার মাত্র ২০ টাকা? আমি বললাম, ‘মাত্র ২০ টাকা? এই টাকা দিয়ে কী হবে?’
: আরেকবার স্কুলে গিয়ে ভালোমতো তোর রোলটা দেখে আয়। তোর মতো ছাত্র এ প্লাস পায় কী করে? নিশ্চয়ই কোথাও ভুল হয়েছে। ২০ টাকা হলো স্কুলে যাওয়া-আসার ভাড়া। যা।
বুটজুতো
এফ কুজনেত্সভ
অনুবাদ : কুমারেশ ঘোষ
আইভান আইভানোভিচ ক্রুতিলকিন পোস্ট অফিসে গিয়ে ঢুকল। সেখানে যে জানালা দিয়ে ডেকে ডেকে চিঠি দেওয়া হয়, তারই সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়াল সে। একটু পরেই জাফরি দেওয়া জানালাটার সামনে এসে দেখল বাদামি চুলের সুন্দরী একটি মেয়ে ওদিকে বসে।
‘পরিচয়পত্রটা চাই।’ মেয়েটি বলল।
শুনেই আইভান হকচকিয়ে গেল, ‘মানে, আমি এখানে মে-ডে-র মেলায় এসেছি। আমার দেশ থেকে চিঠি আসার কথা আছে। আমি-’
‘বলছি, পরিচয়পত্র আছে?
‘আছে।’
‘সেটা দাও কমরেড, দেখি।’
‘এখনই তো সেটা দেখানো যাবে না।’ আইভান জানালার কাছে মুখ নিয়ে নিচুগলায় বলল মেয়েটিকে।
অনুবাদ : কুমারেশ ঘোষ
আইভান আইভানোভিচ ক্রুতিলকিন পোস্ট অফিসে গিয়ে ঢুকল। সেখানে যে জানালা দিয়ে ডেকে ডেকে চিঠি দেওয়া হয়, তারই সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়াল সে। একটু পরেই জাফরি দেওয়া জানালাটার সামনে এসে দেখল বাদামি চুলের সুন্দরী একটি মেয়ে ওদিকে বসে।
‘পরিচয়পত্রটা চাই।’ মেয়েটি বলল।
শুনেই আইভান হকচকিয়ে গেল, ‘মানে, আমি এখানে মে-ডে-র মেলায় এসেছি। আমার দেশ থেকে চিঠি আসার কথা আছে। আমি-’
‘বলছি, পরিচয়পত্র আছে?
‘আছে।’
‘সেটা দাও কমরেড, দেখি।’
‘এখনই তো সেটা দেখানো যাবে না।’ আইভান জানালার কাছে মুখ নিয়ে নিচুগলায় বলল মেয়েটিকে।
লেবেলসমূহ:
অনুবাদ,
চিরায়ত রম্য,
রম্য রচনা,
রস+আলো
বেসিক আলী ১
কার্টুনিস্ট শাহরিয়ার খানের বেসিক আলী অসম্ভব জনপ্রিয় একটি কার্টুন চরিত্র। এর মূল চরিত্র বেসিক আলী হলেও তার আশেপাশের চরিত্রগুলোও অসম্ভব মজার। মূলত এটি তালিব আলীর পরিবারের গল্প। তালিব আলীর এক স্ত্রী, দুই ছেলে আর এক মেয়ে। ছোট ছেলে ম্যাজিকের মাথা ভর্তি চুল। লক্ষী ট্যারা হ্ওয়ায় দিনরাত সানগ্লাস পড়ে থাকে। সে ভালোবাসার চেষ্টা করে মোনালিসাকে, মোনালিসা এখনও রাজি হয়েছে কিনা বোঝা যাচ্ছে না।
বেসিক চাকরি করে বাঙ্গু ব্যাংকে। মেধাবী অফিসার সে। সেখানে বেসিকের কলিগ রিয়ার সংগেই তার প্রেম। রিয়া খুব কোমল স্বভাবের আর খুব আহলাদী। দেখতে পারে না কলিগ রেবেকাকে। কারন বেসিকের প্রতি রেবেকারও বেশ দুর্বলতা আছে।
বেসিক চাকরি করে বাঙ্গু ব্যাংকে। মেধাবী অফিসার সে। সেখানে বেসিকের কলিগ রিয়ার সংগেই তার প্রেম। রিয়া খুব কোমল স্বভাবের আর খুব আহলাদী। দেখতে পারে না কলিগ রেবেকাকে। কারন বেসিকের প্রতি রেবেকারও বেশ দুর্বলতা আছে।
সোমবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১০
বিজ্ঞাপন : চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা ১
একে অপরের আইডিয়া নকল করে বিজ্ঞাপন বানানোর অভ্যাস এজেন্সিগুলোর বহু প্রাচীন। অনেক সময় এমনিতেই দুজনের আইডিয়া মিলে যেতে পারে। কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় সরাসরি কপি করার লোভ সামলাতে পারে না এজেন্সিগুলো। যাদের বুকে বেশি পাটা তারা সরাসরি মারে, আর যাদের বুকে একটু কম সাহস তারা আইডিয়াটা নিয়ে নিজের মতো করে এক্সিকিউট করে। দেশি বিদেশৌ এসব মারিং বিজ্ঞাপন নিয়ে এই সিরিজ। সাল : ২০০৩, ক্লায়েন্ট : Seppala Shoes, এজেন্সি : BOB Helsinki (Finland)প্রথমেই একটি জুতার বিজ্ঞাপন। দুটোর ক্যাপশন পড়লেই বুঝতে পারবেন কে কাকে অনুসরন করেছে। |
হায় ট্রেন, সোনালি আগুনের ট্রেন
সিমু নাসের
আমি যখন নার্সারিতে পড়ি তখন একটা কৌতুক শুনেছিলাম। ট্রাকচালক হাসপাতালে শুয়ে। পুলিশ অফিসার তাকে এসে বলল, ‘অ্যাকসিডেন্টটা কীভাবে হয়েছে?’ ট্রাকচালক করুণ মুখে বলল, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা লোক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি হর্ন দিলাম। লোকটা পড়িমড়ি করে রাস্তার পাশের জমিতে নেমে গেল। আমিও ট্রাক নিয়ে রাস্তা থেকে নেমে লোকটাকে ফলো করলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।’
এ রকম ফলো করলে কারোরই আসলে কিছু মনে থাকে না। গত সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে মানুষ ট্রেনলাইনের ওপর বসে ফলো করছিল জনসভা, আর ট্রেন ফলো করছিল সেই রেললাইন।
আমি যখন নার্সারিতে পড়ি তখন একটা কৌতুক শুনেছিলাম। ট্রাকচালক হাসপাতালে শুয়ে। পুলিশ অফিসার তাকে এসে বলল, ‘অ্যাকসিডেন্টটা কীভাবে হয়েছে?’ ট্রাকচালক করুণ মুখে বলল, ‘রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ দেখি একটা লোক রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। আমি হর্ন দিলাম। লোকটা পড়িমড়ি করে রাস্তার পাশের জমিতে নেমে গেল। আমিও ট্রাক নিয়ে রাস্তা থেকে নেমে লোকটাকে ফলো করলাম। তারপর আর কিছু মনে নেই।’
এ রকম ফলো করলে কারোরই আসলে কিছু মনে থাকে না। গত সপ্তাহে সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদে মানুষ ট্রেনলাইনের ওপর বসে ফলো করছিল জনসভা, আর ট্রেন ফলো করছিল সেই রেললাইন।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)