ইমদাদুল হক মিলনের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
সাত সকালে দরজায় টুকটুক শব্দ।
ওমরের এখনো ঘুম ভাঙেনি। ঘুম জড়ানো কণ্ঠে সে বলল, ‘কে?’
‘ওমর, আমি তোমার ভাবি। ওঠো, ৮টা বাজে। আজ না তোমার এমজিএস গ্রুপে চাকরির ইন্টারভিউ।’
‘ওহ্। প্লিজ, সুইটি ভাবি, আর একটু ঘুমাই।’
‘উহু! আর ঘুমানো চলবে না। দেখো তুমি না উঠলে কিন্তু এবার তোমার গায়ে আমি পানি ঢেলে দেব।’
‘প্লিজ ভাবি, এ কাজটি করো না। আমি না তোমার লক্ষ্মী দেবর। এখন আমি উঠতে উঠতে তুমি কড়া করে এক কাপ চা বানিয়ে আনো তো ঝটপট।’
‘ইস! এতক্ষন একজনকে নাশতা-টাশতা খাইয়ে বিদায় করলাম। এবার আরেকজনের খেদমত শুরু হলো।’
‘ওফ ভাবি! তুমি হলে আমার লক্ষ্মী ভাবি! ভাইয়া তাহলে অফিস চলে গেছে?’
‘হু! আজেরক চাকরিটা হলে দুদিন পরে তো তুমিও অফিসে যাবে আর এই ভাবির কথাও ভুলে যাবে। নিজের বউ নিয়ে মেতে থাকবে। দেখব কেমন বউ ঘরে আন?’
পৃষ্ঠাসমূহ
শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০১০
হিমুর হাতে কয়েকটি আলপিন
হুমাযূন আহমেদের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
আজকের দিনটা এত সুন্দর কেন?সকালবেলা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি হতভম্ব। এ কি! আমার মুখে এত দাড়ি এল কোত্থেকে? সে দিনই তো গ্রিন ফার্মেসির পাশের ফুটপাতের সেলুন থেকে শেভ করলাম। আর এত অল্প দিনেই এত দাড়ি উঠে গেল? আচ্ছা, মানুষের দাড়ি প্রতিদিন কত সেন্টিমিটার করে বাড়ে? বাদল থাকলে জিজ্ঞেস করা যেত। অবশ্য বাদলকে একটা ফোন করে জানা যায়। আজ সোমবার, এতক্ষণে বড় ফুপা অফিসে চলে গেছেন। ফোন করলে বাদলকে পাওয়ার সম্ভাবনা ফিফটি ফিফটি। অবশ্য দাড়িগুলো দেখে মনে হচ্ছে ভালোই তো লাগছে। চেহারায় একটা মহাপুরুষ মহাপুরুষ ভাব চলে এসেছে।
লেবেলসমূহ:
আলপিন,
গল্প,
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা
সুহান ও আর্কাইভস
মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের পূর্বকথা
২১৫০ সালের জানুয়ারি মাসের সুন্দর এক সকাল। লাইনা তার নিও পলিমারের পোশাকটুকু শরীরে ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে বাই ভার্বালে করে ১১৭ তলার ফ্যাট থেকে নিচের ল্যান্ডিংয়ে নেমে আসার সময় শুনতে পেল বাসার সাহায্যকারী তৃতীয় প্রজাতির রোবট রু-এর একঘেয়ে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর, ‘লাইনা, বাইরের তাপমাত্রা এখন ১৫০ সে. কিন্তু তোমার নিও পলিমারের ১৭০ সে. তাপমাত্রা প্রতিরোধ করার মতা আছে। আমার মনে হয় তোমার আরেকটু বেশি মাত্রার নিও পলিমার পরে বাইরে বের হওয়া উচিত। এই ২০ সে. তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তোমার শরীরে যেসব অসুবিধা দেখা দিতে পারে তা হলো...।’ পুরোটুকু শোনার আর সময় হয়নি লাইনার, তার হাতে একফোঁটা সময় নেই। নিচে তার জন্য রুহান অপো করার কথা।
২১৫০ সালের জানুয়ারি মাসের সুন্দর এক সকাল। লাইনা তার নিও পলিমারের পোশাকটুকু শরীরে ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে বাই ভার্বালে করে ১১৭ তলার ফ্যাট থেকে নিচের ল্যান্ডিংয়ে নেমে আসার সময় শুনতে পেল বাসার সাহায্যকারী তৃতীয় প্রজাতির রোবট রু-এর একঘেয়ে যান্ত্রিক কণ্ঠস্বর, ‘লাইনা, বাইরের তাপমাত্রা এখন ১৫০ সে. কিন্তু তোমার নিও পলিমারের ১৭০ সে. তাপমাত্রা প্রতিরোধ করার মতা আছে। আমার মনে হয় তোমার আরেকটু বেশি মাত্রার নিও পলিমার পরে বাইরে বের হওয়া উচিত। এই ২০ সে. তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে তোমার শরীরে যেসব অসুবিধা দেখা দিতে পারে তা হলো...।’ পুরোটুকু শোনার আর সময় হয়নি লাইনার, তার হাতে একফোঁটা সময় নেই। নিচে তার জন্য রুহান অপো করার কথা।
লেবেলসমূহ:
আলপিন,
গল্প,
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা,
সায়েন্স ফিকশন
এই কানাবাবা! এই!!
এটি হুমায়ূন আহমেদের ‘শুভ্র’ চরিত্রের প্যারডি। পার্শ্বচরিত্র হিসেবে আছে হিমু ও মিসির আলী। হুমায়ূন আহমেদের প্যারডিটি লিখেছেন সিমু নাসের
‘মা, আমার চশমা, আমার চশমা কোথায়, মা?’শুভ্র হাহাকার করে উঠল। গতরাতে আলপিন পড়তে পড়তে কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিল তা খেয়ালই করেনি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়ার পরপরই তার খেয়াল হলো, আলপিনটি সে জায়গামতো লুকাতে ভুলে গেছে। এর মধ্যে আবার বোকার মতন মাকে ডেকে ফেলল সে। মা যদি বিছানায় আলপিন দেখতে পান, তাহলে তিনি হতভম্ব হয়ে যাবেন।
শুভ্রর মা জাহানারার ধারণা, তাঁর ছেলে আইনস্টাইন। ফিজিক্স আর ম্যাথমেটিকসের বই ছাড়া আর কিছু পড়ে না। কিন্তু শুভ্র যে গোপনে গোপনে আলপিন, সেলিনার গোপন কথা, ভালোবাসা প্রেম নয়, বোরকা পরা সেই মেয়েটি ধরনের বইও পড়ে; এটা জানতে পারলে তিনি ছোটখাটো একটা স্ট্রোক করবেন। তাই শুভ্র এ-জাতীয় বই সব সময় লকারে লুকিয়ে রাখে। মা স্ট্রোক করুন, এটা সে চায় না।
লেবেলসমূহ:
আলপিন,
গল্প,
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা
রাতের পর রাত
শফিক রেহমানের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
সন্ধ্যায় হালকা ফাল্গুনি হাওয়া বইছিল।
মইনের প্লেয়ারে বাজছিল নতুন রিলিজ হওয়া একটা জনপৃয় বাংলা সিনেমার গান আসসালামু আলাইকুম বেয়াইসাব...ওয়ালাইকুম আস সালাম বিয়াইন সাব... গানটা শুনতে শুনতে মইন ভাবছে বেয়াই এবং বেয়াইন সম্পর্কের চিরন্তন দ্বন্দ্বের বিষয়টি। সম্পর্ক কত অদ্ভুত। বেয়াই একজন পূর্ণবয়স্ক যুবক আর বেয়াইন পূর্ণবয়স্কা যুবতী। একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ থাকবেই। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এই দুজনকে এক হতে দেয় না। সামাজিক বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে দুজনের একে অপরকে পছন্দ হলেও মিলন সম্ভব নয়। বিয়ে বা এ জাতীয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সামাজিক নিয়মনীতিগুলো একটু শিথিল হয়।
সন্ধ্যায় হালকা ফাল্গুনি হাওয়া বইছিল।
মইনের প্লেয়ারে বাজছিল নতুন রিলিজ হওয়া একটা জনপৃয় বাংলা সিনেমার গান আসসালামু আলাইকুম বেয়াইসাব...ওয়ালাইকুম আস সালাম বিয়াইন সাব... গানটা শুনতে শুনতে মইন ভাবছে বেয়াই এবং বেয়াইন সম্পর্কের চিরন্তন দ্বন্দ্বের বিষয়টি। সম্পর্ক কত অদ্ভুত। বেয়াই একজন পূর্ণবয়স্ক যুবক আর বেয়াইন পূর্ণবয়স্কা যুবতী। একে অন্যের প্রতি আকর্ষণ থাকবেই। কিন্তু আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এই দুজনকে এক হতে দেয় না। সামাজিক বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে দুজনের একে অপরকে পছন্দ হলেও মিলন সম্ভব নয়। বিয়ে বা এ জাতীয় কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে সামাজিক নিয়মনীতিগুলো একটু শিথিল হয়।
লেবেলসমূহ:
আলপিন,
গল্প,
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা
কহো না পেয়ার হ্যায়
মুহম্মদ জাফর ইকবালের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
বিজ্ঞান আকাদেমির সভাপতি ত্রাসিয়ান রুথ গ্রানাইটের হলঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে বিষন্ন হয়ে পড়লেন। প্রায় আকাশছোঁয়া কালো গ্রানাইটের হলঘরটি আগে বিজ্ঞান আকাদেমির মূল তথ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিনীষ স্কেলে নবম মাত্রার বুদ্ধিমান প্রাণী এনরয়েডরা এটা তৈরি করেছিল। এখন হলঘরটি পরিণত হয়েছে মানব বসতির বিনোদনকেন্দ্রে।
ত্রাসিয়ান রুথের অনেক পুরোনো কথা মনে পড়ল। সেই ইন দ্য ইয়ার থ্রি থাউজেন্ড ওয়ান। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের পরিচালক, মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক সবাই মিলে একসঙ্গে বসে লাল বিষাদ তিন মাত্রার উত্তেজক পদার্থ খেয়ে এই হলঘরটিতে মাতলামি করছেন। আর স্বপ্ন দেখছেন, মূল ডেটাবেইজ কম্পিউটার সিডিসিকে ধ্বংস করে ফেলবেন। দশম প্রজাতির রোবটগুলো বেইমানি না করলে তা অবিশ্যি সম্ভব হতো।
বিজ্ঞান আকাদেমির সভাপতি ত্রাসিয়ান রুথ গ্রানাইটের হলঘরটির সামনে দাঁড়িয়ে বিষন্ন হয়ে পড়লেন। প্রায় আকাশছোঁয়া কালো গ্রানাইটের হলঘরটি আগে বিজ্ঞান আকাদেমির মূল তথ্যকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। নিনীষ স্কেলে নবম মাত্রার বুদ্ধিমান প্রাণী এনরয়েডরা এটা তৈরি করেছিল। এখন হলঘরটি পরিণত হয়েছে মানব বসতির বিনোদনকেন্দ্রে।
ত্রাসিয়ান রুথের অনেক পুরোনো কথা মনে পড়ল। সেই ইন দ্য ইয়ার থ্রি থাউজেন্ড ওয়ান। সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকেন্দ্রের পরিচালক, মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের পরিচালক সবাই মিলে একসঙ্গে বসে লাল বিষাদ তিন মাত্রার উত্তেজক পদার্থ খেয়ে এই হলঘরটিতে মাতলামি করছেন। আর স্বপ্ন দেখছেন, মূল ডেটাবেইজ কম্পিউটার সিডিসিকে ধ্বংস করে ফেলবেন। দশম প্রজাতির রোবটগুলো বেইমানি না করলে তা অবিশ্যি সম্ভব হতো।
লেবেলসমূহ:
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা,
সায়েন্স ফিকশন
একালের দেবদাস
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
একদিন জুন মাসের দুপুরবেলা রৌদ্রেরও অন্ত ছিল না, উত্তাপেরও সীমা ছিল না। ঠিক সেই সময়টিতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি শচীন মুখার্জির কনিষ্ঠ পুত্র দেবদাস মুখার্জি চট্টগ্রামেরই একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কাসরুমের বেঞ্চ বসে, পা ছড়িয়ে, চোখ বুজে, হাই তুলে অবশেষে স্কুলব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হঠাৎ খুব চিন্তাশীল হয়ে উঠল এবং নিমিষে স্থির করে ফেলল যে এই চমৎকার সময়টিতে গলির ভিডিও গেমসের দোকানে ভিডিও গেম খেলার পরিবর্তে স্কুলের চার দেয়ালের ভেতর আবদ্ধ হয়ে থাকাটা নিতান্তই খারাপ দেখায়। কাস রুমটার চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে সে বেরিয়ে এল। তখন ছিল টিফিন পিরিয়ড। সবাই খেলাধুলায় ব্যস্ত।
আইসক্রিম ও চকোলেট ছিল পার্বতীর জান। টিফিনের অবকাশে গেটে দাঁড়িয়ে মাত্র ঈগলুর ম্যাচোতে একটা কামড় বসিয়েছে, তখনই সে দেখল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেবদাস স্কুলব্যাগটা কাঁধে ফেলে চোর চোর ভঙ্গিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বাসা পাশাপাশি, একই এলাকায়। প্রায়ই পার্বতী দেবদাসের বাসায় যায়। দেবদাসের রুমের কম্পিউটারে নতুন নতুন গেম খেলে। পার্বতীর বাবা গরিব না হলেও দেবদাসের বাবার মতো ঠিক ধনী নয়, তাই পার্বতীর নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। গেম খেলার ইচ্ছে হলেই সে দেবদাসের বাসায় চলে যায়।
একদিন জুন মাসের দুপুরবেলা রৌদ্রেরও অন্ত ছিল না, উত্তাপেরও সীমা ছিল না। ঠিক সেই সময়টিতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি শচীন মুখার্জির কনিষ্ঠ পুত্র দেবদাস মুখার্জি চট্টগ্রামেরই একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কাসরুমের বেঞ্চ বসে, পা ছড়িয়ে, চোখ বুজে, হাই তুলে অবশেষে স্কুলব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হঠাৎ খুব চিন্তাশীল হয়ে উঠল এবং নিমিষে স্থির করে ফেলল যে এই চমৎকার সময়টিতে গলির ভিডিও গেমসের দোকানে ভিডিও গেম খেলার পরিবর্তে স্কুলের চার দেয়ালের ভেতর আবদ্ধ হয়ে থাকাটা নিতান্তই খারাপ দেখায়। কাস রুমটার চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে সে বেরিয়ে এল। তখন ছিল টিফিন পিরিয়ড। সবাই খেলাধুলায় ব্যস্ত।
আইসক্রিম ও চকোলেট ছিল পার্বতীর জান। টিফিনের অবকাশে গেটে দাঁড়িয়ে মাত্র ঈগলুর ম্যাচোতে একটা কামড় বসিয়েছে, তখনই সে দেখল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেবদাস স্কুলব্যাগটা কাঁধে ফেলে চোর চোর ভঙ্গিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বাসা পাশাপাশি, একই এলাকায়। প্রায়ই পার্বতী দেবদাসের বাসায় যায়। দেবদাসের রুমের কম্পিউটারে নতুন নতুন গেম খেলে। পার্বতীর বাবা গরিব না হলেও দেবদাসের বাবার মতো ঠিক ধনী নয়, তাই পার্বতীর নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। গেম খেলার ইচ্ছে হলেই সে দেবদাসের বাসায় চলে যায়।
লেবেলসমূহ:
আলপিন,
গল্প,
প্যারডি,
প্রকাশিত লেখা,
রম্য রচনা
শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০
ত্রিভূজের তিনটি বাহু পরস্পর সমান তাই সাবরিনা ত্রিভূজ নয় কারণ সারবিনার বাহু মোটে দুইটি
সিমু নাসের
শর্টকাট মারার জন্য বাধ্য হয়ে গাউসিয়ার ভেতর দিয়েই যাচ্ছিলাম। নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে এই এলাকায় আমি ঢুকি না। মেয়েরা এত ঘন হয়ে এখানে চলাফেরা করে যে আমার খুব অস্বস্তি লাগে। মেয়েরা তরল হলেই আমার পছন্দ।
ওভারব্রিজটার গোড়ায় গভীর মনোযোগ দিয়ে জুতা দেখছিল ডিপার্টমেন্টের রিমি। মনে হলো রিমি খালি পায়ে জুতা কিনতে এসেছে। কেন জানি না, জুতা কিনতে রিমির খালি পায়ে আসাটাই মনে হলো যুক্তিযুক্ত। (ভাগ্যিস ও জামা কিনতে আসেনি।) না, পা খালি না। চমৎকার সবুজ সেন্ডেলের ভেতর একজোড়া ফর্সা পা রিমির, গোড়ালি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ভেতরের দিকে উল্টা ভি করে কাটা পায়জামার কারনে বাকিটুকু কল্পনা করে নিতে হয়। মাথাটা বায়ে ঘুরাতেই আর কল্পনার প্রয়োজন হলো না। উল্টো দিকে সূর্য পড়ায় পাতলা পায়জামার কাপড় ভেদ করে পায়ের অবয়বটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তার উপর ফর্সাটুকু কল্পনা করে নিলেই হয়। মেয়েদের সিক্সথ সেন্সের উপর আমার ব্যাপক আস্থা। আমার এই তাকিয়ে থাকাটা এখুনি রিমি বুঝে ফেলেবে। মুখে কিছু বলবে না। গলায় ওড়না পড়া মেয়েরা এখন আর এসবে কিছু মনে করে না। তবু রিমি গরম চোখে তাকিয়ে বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলবে, ও মাই গড, তুই এখানে কি করিস।
শর্টকাট মারার জন্য বাধ্য হয়ে গাউসিয়ার ভেতর দিয়েই যাচ্ছিলাম। নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে এই এলাকায় আমি ঢুকি না। মেয়েরা এত ঘন হয়ে এখানে চলাফেরা করে যে আমার খুব অস্বস্তি লাগে। মেয়েরা তরল হলেই আমার পছন্দ।
ওভারব্রিজটার গোড়ায় গভীর মনোযোগ দিয়ে জুতা দেখছিল ডিপার্টমেন্টের রিমি। মনে হলো রিমি খালি পায়ে জুতা কিনতে এসেছে। কেন জানি না, জুতা কিনতে রিমির খালি পায়ে আসাটাই মনে হলো যুক্তিযুক্ত। (ভাগ্যিস ও জামা কিনতে আসেনি।) না, পা খালি না। চমৎকার সবুজ সেন্ডেলের ভেতর একজোড়া ফর্সা পা রিমির, গোড়ালি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ভেতরের দিকে উল্টা ভি করে কাটা পায়জামার কারনে বাকিটুকু কল্পনা করে নিতে হয়। মাথাটা বায়ে ঘুরাতেই আর কল্পনার প্রয়োজন হলো না। উল্টো দিকে সূর্য পড়ায় পাতলা পায়জামার কাপড় ভেদ করে পায়ের অবয়বটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তার উপর ফর্সাটুকু কল্পনা করে নিলেই হয়। মেয়েদের সিক্সথ সেন্সের উপর আমার ব্যাপক আস্থা। আমার এই তাকিয়ে থাকাটা এখুনি রিমি বুঝে ফেলেবে। মুখে কিছু বলবে না। গলায় ওড়না পড়া মেয়েরা এখন আর এসবে কিছু মনে করে না। তবু রিমি গরম চোখে তাকিয়ে বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলবে, ও মাই গড, তুই এখানে কি করিস।
পৃথিবী বহে সমান্তরাল
সিমু নাসের
আজ থেকে দশ বছরেরও বেশি আগে ১৯৯৯ সালে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন কোন এক শীতের বিষন্ন বিকেলে হলের টেবিলে বসে আমি এই গল্পটা শুরু করেছিলাম। ফ্যান্টাসি সায়েন্স ফিকশান। শুরুটা লেখার পরই ড্রাফটটা হারিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে পুরোনো ক্লাস খাতাটায় লেখাটা খুজে পেলাম। আবার যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য এখানে জমা রাখলাম। একদিন না একদিন গল্পটা আমি শেষ করবই।
নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার ইত্তেফাক-এর ব্যক্তিগত কলামে একটা বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। চারকোনা বক্সের ভেতর ছোট ছোট হরফে লেখা বিজ্ঞাপনটা বেশ অদ্ভুত। ‘অপূর্ব সুযোগ! অপূর্ব সুযোগ!! তুমি কি আউটার স্পেসে বসতি বিশ্বাস করো? তুমি কি স্থায়ীভাবে সেখানে মাইগ্রেশন করতে চাও? আইএলটিএসের প্রয়োজন নাই। আজই কাওসার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করো।’ এরপর ধানমন্ডির একটা বাসার ঠিকানা দিয়ে নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লেখা ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের যোগাযোগ কাম্য নহে।’
আজ থেকে দশ বছরেরও বেশি আগে ১৯৯৯ সালে আমি যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তখন কোন এক শীতের বিষন্ন বিকেলে হলের টেবিলে বসে আমি এই গল্পটা শুরু করেছিলাম। ফ্যান্টাসি সায়েন্স ফিকশান। শুরুটা লেখার পরই ড্রাফটটা হারিয়ে যায়। কয়েকদিন আগে পুরোনো ক্লাস খাতাটায় লেখাটা খুজে পেলাম। আবার যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য এখানে জমা রাখলাম। একদিন না একদিন গল্পটা আমি শেষ করবই।
নিয়ম করে প্রতি শুক্রবার ইত্তেফাক-এর ব্যক্তিগত কলামে একটা বিজ্ঞাপন ছাপা হয়। চারকোনা বক্সের ভেতর ছোট ছোট হরফে লেখা বিজ্ঞাপনটা বেশ অদ্ভুত। ‘অপূর্ব সুযোগ! অপূর্ব সুযোগ!! তুমি কি আউটার স্পেসে বসতি বিশ্বাস করো? তুমি কি স্থায়ীভাবে সেখানে মাইগ্রেশন করতে চাও? আইএলটিএসের প্রয়োজন নাই। আজই কাওসার আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করো।’ এরপর ধানমন্ডির একটা বাসার ঠিকানা দিয়ে নিচে বিশেষ দ্রষ্টব্য দিয়ে লেখা ‘১৮ বছরের বেশি বয়সীদের যোগাযোগ কাম্য নহে।’
লেবেলসমূহ:
গল্প,
সায়েন্স ফিকশন,
সিরিয়াস রচনা
কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির রান্নাঘরের পেছনের চালকুমড়া গাছের নুইয়ে পড়া লতার হলুদ কুমড়ো ফুলের কালো ভ্রমর অথবা রবি বৃত্তান্ত
সিমু নাসের
আজ ২১ আগস্ট প্রিয় (রম্য ক্যাটাগরিতে) লেখক (এটা বললে তিনি খুশি হন, তাই বলা) আশীফ এন্তাজ রবির জন্মদিন। কততম জানি না। মানুষ মারা টারা গেলে আশেপাশের ভক্তরা তাকে নিয়ে স্বরনসভা করে, স্বরনিকা বের করে। কিন্তু রবি অন্যদের কারো ওপরই ভরসা রাখতে পারেন নাই। তাই তিনি তার এই জন্মদিনেই একটা স্বরনিকা প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ উপলক্ষে তার যোগ্য শিষ্য ইশতিয়াক গুণ্ডা লাগিয়ে আমার কাছ থেকে এই লেখা আদায় করেছেন। ইন ফ্যাক্ট আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে। রবি ভাই এখনো বেঁচে আছেন বলে মনের সুখ মিটিয়ে এখানে কিছু লেখা গেল না। উনি কথা দিয়েছেন এই মায়ার জগতে তার বেশি দিন থাকার ইচ্ছা নাই। দেখা যাক কবে নাগাদ 'আশীফ এন্তাজ রবিকে যেমন দেখেছি' লিখতে হয়। তবে তার আগে যদি তাকে লিখতে হয় 'সিমু নাসেরকে যেমন দেখেছি' তাইলে আমি শেষ। আচ্ছা, এসব হৃদয় বিদারক কথা বাদ দিয়ে আপনারা সবাই মিলে রবি ভাইয়ের এই জন্মদিনে আমাদের দুজনেরই দীঘায়ু কামনা করতে পারেন।]
আজ ২১ আগস্ট প্রিয় (রম্য ক্যাটাগরিতে) লেখক (এটা বললে তিনি খুশি হন, তাই বলা) আশীফ এন্তাজ রবির জন্মদিন। কততম জানি না। মানুষ মারা টারা গেলে আশেপাশের ভক্তরা তাকে নিয়ে স্বরনসভা করে, স্বরনিকা বের করে। কিন্তু রবি অন্যদের কারো ওপরই ভরসা রাখতে পারেন নাই। তাই তিনি তার এই জন্মদিনেই একটা স্বরনিকা প্রকাশ করেছেন। প্রকাশ উপলক্ষে তার যোগ্য শিষ্য ইশতিয়াক গুণ্ডা লাগিয়ে আমার কাছ থেকে এই লেখা আদায় করেছেন। ইন ফ্যাক্ট আইডিয়াটা আমার পছন্দ হয়েছে। রবি ভাই এখনো বেঁচে আছেন বলে মনের সুখ মিটিয়ে এখানে কিছু লেখা গেল না। উনি কথা দিয়েছেন এই মায়ার জগতে তার বেশি দিন থাকার ইচ্ছা নাই। দেখা যাক কবে নাগাদ 'আশীফ এন্তাজ রবিকে যেমন দেখেছি' লিখতে হয়। তবে তার আগে যদি তাকে লিখতে হয় 'সিমু নাসেরকে যেমন দেখেছি' তাইলে আমি শেষ। আচ্ছা, এসব হৃদয় বিদারক কথা বাদ দিয়ে আপনারা সবাই মিলে রবি ভাইয়ের এই জন্মদিনে আমাদের দুজনেরই দীঘায়ু কামনা করতে পারেন।]
ইহার নাম ফেসবুক
সিমু নাসের
গল্পটা অনেক প্রাচীন। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে সুখী পরিবার বাবার। সামান্য মাইনের চাকরি করেন তিনি, তবে চরিত্রের প্রয়োজনে খুব সৎ। কাজেই সংসারে অভাব-অনটনও নিত্যসঙ্গী। তাঁর দুই ছেলে গান গেয়ে গেয়ে স্কুলে যায় আর আসে। একদিন বড়লোক চৌধুরীর (যার একটি ফুটফুটে কন্যা আছে, বড় হয়ে নায়িকা হবে) রোষানলে পড়ে অন্যায়ের কাছে হার না মেনে তার পোষা গুন্ডার গুলি খেয়ে মারা যাবেন বাবা, বসতভিটায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকবে আগুন। ছোট ছেলেকে কোলে করে একদিকে ছুটে যাবেন মা, অন্যদিকে বড় ছেলে। হারিয়ে যাবে দুই ভাই। গল্পের শেষে অথবা মাঝামাঝিতে দুই ভাই-ই (এদের একজন নায়ক) তখন অনেক বড়। দেখা-সাক্ষাৎ হলেও পরিচয় নেই। মনের আনন্দে একদিন এক ভাই সেই ছোট্টবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে গাওয়া গানটি গেয়ে উঠবে আর
গল্পটা অনেক প্রাচীন। স্ত্রী আর দুই ছেলেকে নিয়ে সুখী পরিবার বাবার। সামান্য মাইনের চাকরি করেন তিনি, তবে চরিত্রের প্রয়োজনে খুব সৎ। কাজেই সংসারে অভাব-অনটনও নিত্যসঙ্গী। তাঁর দুই ছেলে গান গেয়ে গেয়ে স্কুলে যায় আর আসে। একদিন বড়লোক চৌধুরীর (যার একটি ফুটফুটে কন্যা আছে, বড় হয়ে নায়িকা হবে) রোষানলে পড়ে অন্যায়ের কাছে হার না মেনে তার পোষা গুন্ডার গুলি খেয়ে মারা যাবেন বাবা, বসতভিটায় দাউদাউ করে জ্বলতে থাকবে আগুন। ছোট ছেলেকে কোলে করে একদিকে ছুটে যাবেন মা, অন্যদিকে বড় ছেলে। হারিয়ে যাবে দুই ভাই। গল্পের শেষে অথবা মাঝামাঝিতে দুই ভাই-ই (এদের একজন নায়ক) তখন অনেক বড়। দেখা-সাক্ষাৎ হলেও পরিচয় নেই। মনের আনন্দে একদিন এক ভাই সেই ছোট্টবেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে গাওয়া গানটি গেয়ে উঠবে আর
লেবেলসমূহ:
তথ্যপ্রযুক্তি,
প্রকাশিত লেখা,
ফেসবুক,
সিরিয়াস রচনা
ফেসবুক তুমি আছ তাই...
সিমু নাসের
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে ১৭ মার্চ ২০১০।
ঝিলমির সঙ্গে পাক্কা সাড়ে তিন বছরের সম্পর্কটা একেবারেই চুকেবুকে গেল অর্ণবের। রাতের বেলা দু-তিন মিনিটের জন্য অর্ণবের মুঠোফোন ব্যস্ত থাকাটা ঝিলমির কাছে অবশ্যই তুচ্ছ কোনো বিষয় নয়। অর্ণবের একটা বড় অপরাধ, অর্ণব কেন তার প্রয়োজনীয় কথা দিনের বেলা সেরে রাখে না, ঝিলমি ঘুমিয়ে পড়ার আগেই কী কথা কাহার সনে?
নিকট-বন্ধুরা অর্ণবকে বলেছে, ওরে, ঝিলমিটা ঘুমাক, তারপর নাহয় অন্যদের সঙ্গে কথা বলিস। কিন্তু সেসব কথায় ও কান দিলে তো! এমন অসাবধানি ছেলের তো ঝামেলা হবেই—ঝগড়াঝাঁটি হবে, কথাকাটাকাটি হবে। হলোও তা-ই। এমন প্রায়ই হয়, সবারই হয়। কিন্তু এবার
লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে ১৭ মার্চ ২০১০।
ঝিলমির সঙ্গে পাক্কা সাড়ে তিন বছরের সম্পর্কটা একেবারেই চুকেবুকে গেল অর্ণবের। রাতের বেলা দু-তিন মিনিটের জন্য অর্ণবের মুঠোফোন ব্যস্ত থাকাটা ঝিলমির কাছে অবশ্যই তুচ্ছ কোনো বিষয় নয়। অর্ণবের একটা বড় অপরাধ, অর্ণব কেন তার প্রয়োজনীয় কথা দিনের বেলা সেরে রাখে না, ঝিলমি ঘুমিয়ে পড়ার আগেই কী কথা কাহার সনে?
নিকট-বন্ধুরা অর্ণবকে বলেছে, ওরে, ঝিলমিটা ঘুমাক, তারপর নাহয় অন্যদের সঙ্গে কথা বলিস। কিন্তু সেসব কথায় ও কান দিলে তো! এমন অসাবধানি ছেলের তো ঝামেলা হবেই—ঝগড়াঝাঁটি হবে, কথাকাটাকাটি হবে। হলোও তা-ই। এমন প্রায়ই হয়, সবারই হয়। কিন্তু এবার
লেবেলসমূহ:
প্রকাশিত লেখা,
ফেসবুক,
সিরিয়াস রচনা
ক্ষুধার্ত থেকো, বোকা থেকো
ভাষান্তর: সিমু নাসের
স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। সেই ভাষণ শুনে আমি এতই অনুপ্রানিত হয়েছিলাম যে সংগে সংগে বসে গিয়েছিলাম অনুবাদ করতে। আমার অনুবাদ করতে কখনই ভালো লাগে না। কিন্তু এই অনুবাদটি করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমি অনুবাদ করতে বসলে যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো আমি অনেক নিজের কথা অনুবাদে ঢুকিয়ে দেই। এইখানেও দুয়েকটা জায়গায় তা করেছি। তাতে মূল ভাব বা বক্তব্যের কোন হেরফের হয়নি। চাইলে ভাষনটি তুমিনালী (ইউটিউব) থেকে দেখে নিতে পারেন। অন্তর্জাল দুনিয়ায় ঘাটাঘাটি করে ভাষনের ইঙরেজি কপিটিও দেখতে পারেন। এই অনুবাদটি যে কেউ চাইলে যে কোন জায়গায় আমার অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করতে পারবেন। এই অনুবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে।
স্টিভ জবস বিশ্বখ্যাত কম্পিউটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাপল ও অ্যানিমেশন স্টুডিও পিক্সারের (টয় স্টোরি, ফাইন্ডিং নিমো, মনস্টার ইনকরপোরেটেড, ওয়াল-ই, আপ-এর মতো অসাধারণ অ্যানিমেশন তৈরি করেছেন) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন বক্তা হিসেবে ২০০৫ সালে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন স্টিভ জবস। সে বছর ১২ জুন এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীর সেই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যে ভাষণটি তিনি দিয়েছিলেন, সেটি সত্যিই অসাধারণ। সেই ভাষণ শুনে আমি এতই অনুপ্রানিত হয়েছিলাম যে সংগে সংগে বসে গিয়েছিলাম অনুবাদ করতে। আমার অনুবাদ করতে কখনই ভালো লাগে না। কিন্তু এই অনুবাদটি করে খুবই আনন্দ পেয়েছি। আমি অনুবাদ করতে বসলে যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো আমি অনেক নিজের কথা অনুবাদে ঢুকিয়ে দেই। এইখানেও দুয়েকটা জায়গায় তা করেছি। তাতে মূল ভাব বা বক্তব্যের কোন হেরফের হয়নি। চাইলে ভাষনটি তুমিনালী (ইউটিউব) থেকে দেখে নিতে পারেন। অন্তর্জাল দুনিয়ায় ঘাটাঘাটি করে ভাষনের ইঙরেজি কপিটিও দেখতে পারেন। এই অনুবাদটি যে কেউ চাইলে যে কোন জায়গায় আমার অনুমতি ছাড়াই প্রকাশ করতে পারবেন। এই অনুবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে দৈনিক প্রথম আলোর বুধবারের ক্রোড়পত্র স্বপ্ন নিয়েতে।
লেবেলসমূহ:
অনুবাদ,
প্রকাশিত লেখা,
সিরিয়াস রচনা
যে কারনে আমি ব্লগে লিখি না
সিমু নাসের
আমার মন মেজাজ সব সময়ই ভালো থাকে। এটা আমার জন্য একটা বড় প্রব্লেম। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে মন মেজাজ খারাপ করার জন্য মাসে এক দুইবার বিভিন্ন ব্লগে ঢুকি, কিন্তু লিখি না। কিছুক্ষণ ব্লগের বিভিন্ন লেখা পড়ার পর মন মেজাজ অটোমেটিকলি খারাপ হতে থাকে। কেন খারাপ হতে থাকে সেটা ব্লগার মাত্রই জানেন বলে আমার ধারণা। পড়লেই মেজাজ খারাপ হয় লিখলে আরও অনেক বেশি খারাপ হবে এই ভয়ে সেদিকে আর আগাই না। তবে এটা মূল কারণ না...
আমার মন মেজাজ সব সময়ই ভালো থাকে। এটা আমার জন্য একটা বড় প্রব্লেম। তাই ইচ্ছাকৃতভাবে মন মেজাজ খারাপ করার জন্য মাসে এক দুইবার বিভিন্ন ব্লগে ঢুকি, কিন্তু লিখি না। কিছুক্ষণ ব্লগের বিভিন্ন লেখা পড়ার পর মন মেজাজ অটোমেটিকলি খারাপ হতে থাকে। কেন খারাপ হতে থাকে সেটা ব্লগার মাত্রই জানেন বলে আমার ধারণা। পড়লেই মেজাজ খারাপ হয় লিখলে আরও অনেক বেশি খারাপ হবে এই ভয়ে সেদিকে আর আগাই না। তবে এটা মূল কারণ না...
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)