সিমু নাসের
শর্টকাট মারার জন্য বাধ্য হয়ে গাউসিয়ার ভেতর দিয়েই যাচ্ছিলাম। নিতান্ত ঠেকায় না পড়লে এই এলাকায় আমি ঢুকি না। মেয়েরা এত ঘন হয়ে এখানে চলাফেরা করে যে আমার খুব অস্বস্তি লাগে। মেয়েরা তরল হলেই আমার পছন্দ।
ওভারব্রিজটার গোড়ায় গভীর মনোযোগ দিয়ে জুতা দেখছিল ডিপার্টমেন্টের রিমি। মনে হলো রিমি খালি পায়ে জুতা কিনতে এসেছে। কেন জানি না, জুতা কিনতে রিমির খালি পায়ে আসাটাই মনে হলো যুক্তিযুক্ত। (ভাগ্যিস ও জামা কিনতে আসেনি।) না, পা খালি না। চমৎকার সবুজ সেন্ডেলের ভেতর একজোড়া ফর্সা পা রিমির, গোড়ালি পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। ভেতরের দিকে উল্টা ভি করে কাটা পায়জামার কারনে বাকিটুকু কল্পনা করে নিতে হয়। মাথাটা বায়ে ঘুরাতেই আর কল্পনার প্রয়োজন হলো না। উল্টো দিকে সূর্য পড়ায় পাতলা পায়জামার কাপড় ভেদ করে পায়ের অবয়বটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। তার উপর ফর্সাটুকু কল্পনা করে নিলেই হয়। মেয়েদের সিক্সথ সেন্সের উপর আমার ব্যাপক আস্থা। আমার এই তাকিয়ে থাকাটা এখুনি রিমি বুঝে ফেলেবে। মুখে কিছু বলবে না। গলায় ওড়না পড়া মেয়েরা এখন আর এসবে কিছু মনে করে না। তবু রিমি গরম চোখে তাকিয়ে বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলবে, ও মাই গড, তুই এখানে কি করিস।
কি দরকার এসব শোনার। আমার ডিপার্টমেন্টেরই তো মেয়ে। সূর্য প্রতিদিনই পশ্চিম আকাশে হেলে পড়বে আর রিমির পাও হারিয়ে যাবে না। তার পা দেখার অনেক সুযোগ আসবে। খালি ততদিন পাতলা কাপড়ের পায়জামা পড়ার ফ্যাশনটা থাকলেই হয় আর কি! ভেবে ডানে টার্ন নিতেই মেয়েটা আলতো করে আমার হাত ধরল। ছোট্ট কোমল একটা হাত।...(অসমাপ্ত)
এই গল্পটি যখন লেখা শুরু করি তখন আমি কলেজে পড়ি, ১৯৯৭ কি ৯৮ সাল। থাকি হাতিরপুলের নর্থ সার্কুলার রোডে। বাসার টপ ফ্লোরে থাকতাম। রুমের সামনে ছাদ। বিকেল হলেই আশে পাশের ছাদ ভরে যেত মেয়েতে মেয়েতে। আমার খুব অস্বস্তি হতো রুম থেকে বেরুতে। পড়াশোনার পাশাপাশি তখন কাগজে অযথাই হিজিবিজি লিখতাম। তারই একটা এটি। গল্পটা একদিন শেষ করতে হবে।
এই লেখায় ব্যবহৃত ছবির ক্রেডিট গুগল চৌধুরীর বদলে পাবে সাবহানাজ রশীদ দিয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন