শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্যারডি লিখেছেন সিমু নাসের
একদিন জুন মাসের দুপুরবেলা রৌদ্রেরও অন্ত ছিল না, উত্তাপেরও সীমা ছিল না। ঠিক সেই সময়টিতে চট্টগ্রামের বিশিষ্ট বিএনপি নেতা, সাবেক এমপি শচীন মুখার্জির কনিষ্ঠ পুত্র দেবদাস মুখার্জি চট্টগ্রামেরই একটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের কাসরুমের বেঞ্চ বসে, পা ছড়িয়ে, চোখ বুজে, হাই তুলে অবশেষে স্কুলব্যাগটা কাঁধে নিয়ে হঠাৎ খুব চিন্তাশীল হয়ে উঠল এবং নিমিষে স্থির করে ফেলল যে এই চমৎকার সময়টিতে গলির ভিডিও গেমসের দোকানে ভিডিও গেম খেলার পরিবর্তে স্কুলের চার দেয়ালের ভেতর আবদ্ধ হয়ে থাকাটা নিতান্তই খারাপ দেখায়। কাস রুমটার চারদিকে একবার চোখ বুলিয়ে সে বেরিয়ে এল। তখন ছিল টিফিন পিরিয়ড। সবাই খেলাধুলায় ব্যস্ত।
আইসক্রিম ও চকোলেট ছিল পার্বতীর জান। টিফিনের অবকাশে গেটে দাঁড়িয়ে মাত্র ঈগলুর ম্যাচোতে একটা কামড় বসিয়েছে, তখনই সে দেখল তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেবদাস স্কুলব্যাগটা কাঁধে ফেলে চোর চোর ভঙ্গিতে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাদের বাসা পাশাপাশি, একই এলাকায়। প্রায়ই পার্বতী দেবদাসের বাসায় যায়। দেবদাসের রুমের কম্পিউটারে নতুন নতুন গেম খেলে। পার্বতীর বাবা গরিব না হলেও দেবদাসের বাবার মতো ঠিক ধনী নয়, তাই পার্বতীর নিজের কোনো কম্পিউটার নেই। গেম খেলার ইচ্ছে হলেই সে দেবদাসের বাসায় চলে যায়।
দেবদাসকে বেরিয়ে যেতে দেখে ম্যাচো হাতেই পার্বতী তার পেছন পেছন দৌড়ে ডাকতে লাগল, ‘ডেব, হ্যালো ডেব, হয়ার আর ইউ গোয়িং?’ দেবদাস পেছনে তাকিয়ে পার্বতীকে দেখে রাগতস্বরে ফিসফিস করে বলল, ‘আমি মুনস্টার ভিডিও গেমসের দোকানে যাচ্ছি। তুমি যাবে?’ পার্বতী ভয় পাওয়া গলায় বলল, উঁহু, স্কুল ছুটির পর আম্মু এসে না পেলে খুবই চিন্তা করবে, আমি যাব না।’ তুমি থাকো তাহলে ভীতু, ঘোড়ার ডিম কোথাকার।’ তারপর বেশ মোলায়েম সুরে দেব বলল, ‘আমার কাছে যা টাকা আছে তা দিয়ে পাঁচটার বেশি গেম খেলা যাবে না, তুমি কিছু টাকা দেবে?’ একটা আইসক্রিম কেনার পর পার্বতীর কাছে যে পরিমাণ টাকা আছে তাতে সে ভেবে রেখেছিল, আরেকটা আইসক্রিম খাবে। কিন্তু দেব চেয়েছে, সে তো ‘না’ বলতে পারে না। পুরো টাকাটাই সে দেবকে দিয়ে দিল। হাজার হোক, আইসক্রিম থেকে দেবকে তো সে অনেক অ-নে-ক বেশি ভালোবাসে।
ভালোবাসাবাসি
যথারীতি সেদিনই দেবদাসের স্কুল পালানোর খবর তার বদরাগি বাবার কানে পৌঁছাল। তিনি মহা উত্তেজিত হয়ে দেবদাসকে প্রহার করলেন এবং তার ওপর বেশ কড়াকড়ি নিয়মকানুন জারি করলেন। দেবের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেল। এসব খবর শুনে পার্বতীর বুকের ভেতরটাও কেমন জানি মোচড় দিয়ে ওঠে, কষ্টে বুকটা টনটন করে হঠাৎ বুকের ভেতরটা শূন্য হতে থাকে...এ সবই দেবের জন্য। ইংরেজি মুভি দেখে দেখে পার্বতী এত দিনে শিখে ফেলেছে, এই মন কেমন করে ওঠাটাই হলো ভালোবাসা। সে দেবকে ভালোবেসে ফেলেছে।
তারপর এই দুই কিশোর-কিশোরী কাসে পাশাপাশি বসে, ফিসফিস করে গল্প করে, মাঝেমধ্যে স্কুল পালিয়ে ফাস্টফুডের দোকানে যায়, পতেঙ্গা বিচে গিয়ে একে অপরের হাত ধরে চুপচাপ বসে থাকে, বৃষ্টি হলে রিকশায় চড়ে দুজনে ভেজে, দুজন দুজনকে অনুভব করে, স্কুল পালানোর ফলে আবার দুজনেই বাবার কাছে মার খায়। শেষে দুজনের পড়ালেখাই মাথায় ওঠে। দুজনই রেজাল্ট খারাপ করতে থাকে।
কষ্ট, কষ্ট...
দেবের বাবা শচীন মুখার্জি ছিলেন রাজনীতি করা বিজ্ঞ মানুষ। তিনি দেখলেন, এভাবে দেবদাসের পড়াশোনা হবে না, সে গোল্লায় যাবে এবং যাচ্ছে। ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, দেবকে ঢাকায় তার মামার বাসায় পাঠিয়ে দেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তিনি সবকিছুর বন্দোবস্ত করলেন। দেব কোনো অবস্থাতেই চট্টগ্রাম ছেড়ে ঢাকায় যাবে না। পার্বতীকে ছাড়া সে বাঁচবে কীভাবে? এ কথা তো বাবাকেও বলতে পারে না। পিতৃ-হুকুমের কাছে সব পরাস্ত। এদিকে দেব ঢাকায় চলে যাচ্ছে, এ কথা শোনার পর থেকেই পার্বতীর নাওয়া-খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল। তার আর কিচ্ছু ভালো লাগে না। দেবের চলে যাওয়ার কথা মনে হলেই রুমের দরজা লাগিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদে।
ঢাকায় চলে যাওয়ার আগের দিন পার্বতী দেবকে জিইসির মোড়ের একটা ফাস্টফুডের দোকানে দেখা করতে বলে। দুজনের দেখা হয়, বিষণœ মনে বসে থাকে, ভবিষ্যতের কথাবার্তা হয়। পার্বতী ভয় পাওয়া সুরে বলে, ‘ডেব, ঢাকায় গিয়ে তুমি আমাকে ভুলে যাবে না তো?’ দেব আশ্বাস দেয়, ‘দূর বোকা, তোমাকে কি আমি ভুলতে পারি, তুমিই তো আমার সব, তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতেই পারব না।’ পার্বতী কিশোরীসুলভ অভিমানী গলায় বলে, ‘কথা দাও, প্রতিদিন চিঠি দেবে, মেইল করবে আর মিসকল দেবে।’ দেব কথা দেয়।
ছেলেরা যেমন হয়
দেব ঢাকায় এসে নতুন একটি স্কুলে ভর্তি হয়। তার প্রচুর বন্ধু। বান্ধবীর সংখ্যাও অসংখ্য। বান্ধবীদের মধ্যে তুনা নামের একটা মেয়ের সঙ্গে দেবের খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রথম প্রথম দেব ঢাকায় এসে পার্বতীকে নিয়মিত মেইল করলেও তুনার সংস্পর্শে থেকে থেকে সেটার পরিমাণ দিন দিন কমতে থাকে। মোবাইলে মিসকলও দেয় না ইদানীং। তুনাকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকা শহরের অলিগলি ঘুরে বেড়ায়। মাঝেমধ্যে চট্টগ্রাম গেলেও পার্বতীর সঙ্গে খুব একটা দেখা করে না। তাকে এড়িয়ে চলে। পার্বতী বুঝতে পারে না দেবের কী হলো। দেব কি তাকে ভুলে গেল? এ কথা ভাবলেই তার কান্না চলে আসে। ঢাকায় দেবের অসংখ্য বন্ধুবান্ধবের মধ্যে মহফিচেল এক বন্ধু ছিল, নাম তার চুনিলাল। চুনিলাল ছোট থেকেই ঢাকায় মানুষ। দুনিয়ায় হেন কোনো বাঁদরামি নেই, যা তার আয়ত্তে নেই। তার সংস্পর্শে থেকে থেকেই এত দিনে দেব সিগারেট খাওয়া শুরু করেছে। চুনিলাল এক দিন ওষুধের মতো মিষ্টি সিরাপ খাওয়ালো তাকে। খেয়ে কেমন জানি ঝিমঝিম ভাব। পরে দেবদাস জেনেছিল ওটার নাম ফেনসিডিল।
এভাবে আরও অনেক বছর অতিবাহিত হলো। পার্বতী স্কুল-কলেজ ছেড়ে অর্থনীতিতে অনার্স করার জন্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো। আর দেব তুনার সঙ্গে অলিগলি ঘুরে বেড়িয়ে কাস মিস দিত। ফলে খুবই স্বাভাবিক কারণে তুনা ঠিকই এইচএসসি পাস করল কিন্তু দেব ডাব্বা মারল।
তুনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে। দেব ফেল করায় খুব একটা পাত্তা দেয় না।
জটিলতা
পাঁচ-সাত বছর পরের কথা। পার্বতী বিবাহের উপযুক্ত হয়েছে। পার্বতীর বাবাও এখন আর গরিবটি নেই। তিনি সুযোগ বুঝে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে বেশ নামডাক করে ফেলেছেন। দেবদাসের বাবা বিএনপি করায় তার সঙ্গে ব্যাপক বিরোধ। দুজন দুজনকে দেখতে পারেন না।
তত দিনে তুনার কাছে আর পাত্তা না পেয়ে দেব পর্বতীর কাছে ‘ব্যাক টু দ্য প্যাভিলিয়ন’ হয়েছে। কিন্তু তারা দুজনই জানে, তাদের মিলন কখনোই সম্ভব নয়। রাজনৈতিক কারণই তাদের সম্পর্কের সবচেয়ে বড় বাধা। মা-বাবারা কখনোই তাদের এ সম্পর্ক মেনে নেবেন না। তবে একটিমাত্র উপায় আছেÑকোর্ট ম্যারেজ। পার্বতীও এদিকে একটা অসাধ্য সাধন করে ফেলে। মাকে রাজি করিয়ে ফেলে এবং পটিয়ে পটিয়ে তার মাকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠায় শচীন মুখার্জির কাছে। কিন্তু বিএনপি তখন মতায়। দেবদাসের বাবা শচীন মুখার্জির ব্যাপক দাপট। তিনি এই প্রস্তাব শুন তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠলেন। যারপরনাই অপমান করলেন তিনি পার্বতীর মাকে। পার্বতীর মা এই অপমান সহ্য করতে পারলেন না। তিনি তাঁর স্বামীকে মেয়ের বিয়ের কথা সেদিনই পাড়লেন। মেয়েকে তিনি আরো উঁচু ঘরে বিয়ে দেবেন।
শচীন মুখার্জিও দেবদাসকে কঠোরভাবে নিষেধ করে দিলেন পার্বতীর সঙ্গে মেলামেশা না করতে। বাবা-ছেলেতে সেদিন তুমুল ঝগড়া। সে রাতেই দেবদাস রাগ করে বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় চলে আসার প্রস্তুতি নিল। পার্বতী মোবাইলে ফোন করে সব খবরই জানতে পারল। দেবকে বলল, ‘চলো আমরা আজই পালিয়ে যাই, কোর্টে গিয়ে বিয়ে করে ফেলি। তারপর দুজন না হয় গাছতলাতেই থাকব।’ কিন্তু দেবদাস ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ কিছু না বলেই ঢাকায় চলে গেল। পার্বতী বুঝল, দেব একটা কাপুরুষ, আর কাপুরুষদের সঙ্গে কখনো বিয়ে নয়। সে এখন অনেক বুঝতে শিখেছে। পার্বতীর বিয়ে ঠিক হয়েছে। ছেলে আমেরিকা-ফেরত কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। অতি সুপাত্র। পার্বতীর মা-বাবা দুজনই খুব খুশি। পার্বতীও খুব খুশি।
পার্বতীরা ইদানীং...
ঢাকায় এসে দেবের মন অস্থির। কিচ্ছু ভালো লাগে না, ভালো লাগে না। সে বুঝল, তুনা-ফুনারা আসলে কেউ না, পার্বতীই আসলে তার সব। এসব ভাবতে ভাবতে বুঝল, আসলে পার্বতীর কাছেই ফিরে যাওয়া উচিত। যেদিন সে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাল সেই রাতেই পার্বতীকে পাত্রপ দেখতে আসবে। পছন্দ হলে এনগেজমেন্টও হবে। চট্টগ্রাম পৌঁছেই দেব পার্বতীর মোবাইলে ফোন দিয়ে জানাল, তার সঙ্গে দেখা করতে চায়। কিন্তু পার্বতী দেখা করবেই না। কিন্তু শত হলেও নারীর মন। দেবের ডাক সে উপো করতে পারল না। একটা ফাস্ট ফুডের দোকানে দুজনের দেখা। পার্বতী দেবের বিপরীতে একটা চেয়ার টেনে বসে দুটো কোকের অর্ডার দিয়ে বলল, ‘ডেব, আমাকে কিছু বলবে?’ দেব অনেকণ শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, ‘আমি এসেছি, পার্বতী।’ পার্বতী বলল, ‘এসেছ তো খুব ভালো হয়েছে। কিন্তু আমার যে বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে, ডেব। ছেলে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার। বিদেশি একটা কোম্পানিতে চাকরি করে। গাড়ি-বাড়ি সব আছে তার। কিন্তু কী আছে তোমার? নিজের পায়ে এখন পর্যন্ত দাঁড়াতে পারলে না। তুমি আমাকে রাখবেই বা কোথায় আর খাওয়াবেই বা কী!’ এ ধরনের কথা শুনে দেবদাস তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠল, ‘ছি! পার্বতী, ছি! তুমি শুধু গাড়ি-বাড়িটাই দেখলে, আমার ভালোবাসা দেখলে না, গাড়ি-বাড়িই কি জীবনের সব?’ বলে হাতের মোবাইলটা পার্বতীকে উদ্দেশ করে ছুড়ে মারল। মোবাইলের অ্যান্টেনা পার্বতীর কপালে লেগে কপাল কেটে গেল। চোখের নিমেষে পার্বতীর সমস্ত মুখ রক্তে ভেসে যায়।
দেবদাস অতঃপর...
এর পরের কাহিনী বড্ড করুণ। সংেেপ বলতে গেলে অনেকটা এ রকম দাঁড়ায়Ñসে রাতেই দেবদাস মায়ের কিছু স্বর্ণালংকার, বাবার আলমারি থেকে টাকা চুরি করে ঢাকায় চলে আসে। দেবদাসের টাকার গন্ধ পেয়ে চুনিলাল আর তুনা আবার তার কাছে ভেড়ে।
পার্বতীর দুঃখ ভুলতে দেব আর চুনিলাল তখন আগারগাঁও বস্তির নিয়মিত ফেনসিডিলের খদ্দের। সারা দিন নেশায় টালমাটাল। তুনাও এ সুযোগে দেবের কাছ থেকে বুঝে নেয় দামি দামি গিফট। এর ভেতর দেব ফেনসিডিল খেতে গিয়ে পুলিশের হাতে দুবার ধরা পড়ে। পুলিশ কিছু প্যাদানি দিয়ে ছেড়ে দেয়। বাসা থেকে টাকা আসা বন্ধ, হাতের টাকাও ফুরিয়ে এসেছে, দেব চোখে অন্ধকার দেখে। নেশা করার টাকা সে কোথায় পাবে?
এদিকে পার্বতী মহা সুখে তার দিন কাটায়। সারা দিন বসে বসে জিটিভি, সনি টিভির সিরিয়াল দেখে আর হাজব্যান্ডের গাড়িতে করে মাঝেমধ্যে মার্কেটে যায়। এক দিন অনেক রাতে পার্বতী ও তার হাজব্যান্ড একটা পার্টি থেকে বাসায় ফিরেছে। ফ্রেশট্রেশ হয়ে শোয়ার কিছুণ পর শুনতে পায় বাসার সামনে গুলির শব্দ। এত রাতে কী হয়েছে তারা আর তা জানতে পারে না।
পর দিন পত্রিকা খুলে পার্বতী পড়তে থাকে, ‘পুলিশের গুলিতে ছিনতাইকারী নিহত...’। বিস্তারিত খবর হলো, চট্টগ্রামের বিশিষ্ট নেতা অমুকের পুত্র দেবদাস চক্রবর্তী ছিনতাই করে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতেই সে ছিনতাই করেছিল বলে সন্দেহ করা হয়। পুলিশ অমুক জায়গা (পার্বতীর বাসার সামনে) থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। পার্বতী খবরটা একবার পড়ে টিভির চ্যানেল চেঞ্জ করে মনোযোগ সহকারে টিভি দেখতে থাকে।
দেবদাসের জন্য বড় কষ্ট হয়। তোমরা যারা এ কাহিনী পড়বে, হয়তো আমারই মতো দুঃখ পাবে। তবু যদি কখনো দেবের মতো এমন হতভাগ্যের সঙ্গে পরিচয় ঘটে, তার জন্য একটু প্রার্থনা কোরো, যেন তার মতো আর কারও মৃত্যু না ঘটে। মরণে তি নেই, কিন্তু পত্রিকায় সে খবর পড়ে পড়ে যেন কেউ একটু থমকায়, গভীর মনোযোগে টিভির চ্যানেল চেঞ্জ না করে যাতে একটু টিভিটা বন্ধ করে, খবরটা খুঁটিয়ে পড়ে।
লেখাটি আমার বাল্যকালে 'আলপিন' এ প্রকাশিত হয়েছিল। কত সালে মনে নেই। ২০০০ থেকে ২০০৩ এর ভেতর যতদূর মনে হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন